চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

বিচারসহ ৫ দাবি মানবাধিকার ফোরামের : পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের ওপর হামলা পরিকল্পিত

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পঞ্চগড়ে আহমদিয়া স¤প্রদায়ের ওপর হামলা পরিকল্পিত এবং তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনাসহ ৫ দফা দাবিও জানিয়েছেন তারা।
গতকাল সোমবার হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তারা এই দাবি জানান। সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) প্রধান নির্বাহী ড. ইফতেখারুজ্জামান, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী প্রধান জাকির হোসেন, ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, স্টেপস স্টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক মো. নূর খান প্রমুখ। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসকের সমন্বয়কারী তামান্না হক রিতী।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ পঞ্চগড় শহরের আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া স¤প্রদায়ের সালান জলসা বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ এবং আহমদিয়া স¤প্রদায়ের ওপর হামলা, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে একজন ও বিক্ষোভকারীদের হামলায় দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হয় শতাধিক ব্যক্তি।
এইচআরএফবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, হামলাকারীরা পরিকল্পিতভাবে ও সংঘবদ্ধভাবে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। জাহিদ ইসলাম নামে এক তরুণকে নির্যাতন করে হত্যার সময় পুলিশের ভূমিকা নীরব ছিল। হামলার আগে পতাকা দিয়ে বাড়ি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
জলসার বিষয়টি আগে থেকে প্রশাসনকে জানালেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করার পরও এই হামলা ঘটে। প্রশাসনের অসতর্কতায় আরেক তরুণের মৃত্যু হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা অফলাইনে নানা মিথ্যা প্রচারণা ও ঘৃণা ছড়িয়ে এই হামলা আরো সংগঠিত করা হয়।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। সংখ্যালঘু স¤প্রদায়কে কেন্দ্র করে বারবারই এমন ঘটনা ঘটছে। এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক তোষণ। একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এমন বিষয়গুলোকে উসকে দেয়া হচ্ছে। এই ঘটনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা, সংবিধানের মৌলিক নীতির সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। এমন একটি ঘটনা সবাইকে উদ্বিগ্ন করে। এর মাধ্যমে সংবিধানের চেতানা, স্বাধীনতার চেতনা পদদলিত করা হচ্ছে।
জাকির হোসেন বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার চিন্তা চলছে। চারদিকে পুলিশ থাকবে আর ধর্ম পালন করতে হবে- এমনটা তো হতে পারে না। রাষ্ট্র যদি সঠিক পরিকল্পনা না নেয়, তাহলে এখান থেকে বের হওয়া যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে এইচআরএফবির পক্ষ থেকে পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো- সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে এই হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত ও বিচার করা। আহমদিয়াদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনলাইন, অফলাইনে যারা ঘৃণা ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। আগের সব হামলার বিচার করা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়