চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ : জেন্ডার বাজেটের অর্থ ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই মন্ত্রণালয়ে

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : নারীদের অগ্রগতি এবং জেন্ডারগত বিভিন্ন বৈষম্য নিরসনে বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থ কীভাবে ব্যয় হবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে নেই। বাজেটের লক্ষ্য পূরণে কৌশলগত পরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।
কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অফ উইমেন এর (সিএসডব্লিউ) ৬৭তম অধিবেশনে ইকুয়াল রাইটস টু প্রোপার্টি এন্ড রিসোর্সেস ইজ মাস্ট ফর জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি শিরোনামে প্যারালাল ইভেন্টে মূল বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনলাইনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মডারেটর ছিলেন মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। আলোচনায় অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ) এডভোকেট অমিত দাস গুপ্ত, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক (প্রোগ্রাম) নীনা গোস্বামী, ব্র্যাকের পরিচালক (জেন্ডার, জাস্টিস এন্ড ডাইভারসিটি) নবনীতা চৌধুরী, কেয়ার বাংলাদেশের পরিচালক (উইমেন এন্ড গার্লস এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম) রওনক জাহান, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক সিউতি সবুর প্রমুখ। বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪৪টি মন্ত্রণালয় নারীদের অগ্রগতি এবং জেন্ডারগত বিভিন্ন বৈষম্য নিরসনের জন্য মোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা পেয়েছে। যা দেশের জিডিপির ৫ দশমিক ১৬ শতাংশের সমান। জেন্ডার বাজেটকে ৩টি ভাগে ভাগ করে ৪১ শতাংশ নারীর ক্ষমতায়ন এবং তাদের সামাজিক অবস্থান উন্নীত করার জন্য, ৭ শতাংশ শ্রমবাজার এবং আয়বর্ধক কর্মকাণ্ডে নারীদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করার জন্য এবং ৫২ শতাংশ নারীদের জন্য সহজে সরকারি সেবা পাওয়ার সুযোগ বাড়াতে বরাদ্দ করা হয়েছে। তবে এই বাজেট কীভাবে ব্যয় হবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে।
বাজেটের লক্ষ্য পূরণে কৌশলগত পরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়নের জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেন কৃষ্ণা দেবনাথ। পাশাপাশি সম্পদ ও সম্পত্তিতে জেন্ডার সমতা নিশ্চিতে বৈষম্যমূলক আইনের সংস্কার করা; আইন প্রণয়নে নারীদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো; আইনের বাস্তবায়ন ও প্রয়োগে জোরালো ভূমিকা পালন, জেন্ডার সংবেদনশীলতা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো এবং নারীদের জন্য সহায়তামূলক সেবা নিশ্চিত করা ইত্যাদি সুপারিশগুলো তুলে ধরেন তিনি।
সম্পদ সম্পত্তিতে সমান অধিকার না থাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীর প্রতি বৈষম্যের বিষয়টি তুলে ধরেন বক্তারা। এ ব্যাপারে বিদ্যমান বৈষম্যমূলক আইন পরিবর্তন ও সম্পদ সম্পত্তিতে সমান অধিকারসহ নারী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের দাবি অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন তারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়