চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা

আগের সংবাদ

গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ ঘাটতির আশঙ্কা : সেচের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে > ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার মেগাওয়াট

পরের সংবাদ

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সফররত প্রেসিডেন্টের বৈঠক : এডিবির অর্থায়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাপক বাংলাদেশ

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপনের দিনটিকে একটি মহান দিন হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে শুরু হওয়া থেকে আমাদের নেতৃস্থানীয় উন্নয়ন অংশীদারদের অন্যতম হিসাবে এডিবির ভূমিকার প্রশংসা করেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রæতির বিপরীতে, আজ অবধি বাংলাদেশ ২১ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রিন্সিপাল হিসাবে পরিশোধ করেছি। তিনি বলেন, বর্তমানে এডিবির সঙ্গে আমাদের বকেয়া ঋণ ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা সরকারের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ। কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ এডিবির অর্থায়নের তৃতীয় বৃহত্তম প্রাপক হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন এডিবি প্রেসিডেন্ট। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অবহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত ১৪ বছরে আমাদের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘গেøাবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে প্রায় ৩৮ বছর সময় লেগেছিল। আর এখন আমাদের জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে; বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে ‘শীর্ষ ২০ অর্থনীতির’ দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, আমাদের এখন লক্ষ্য রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোতে এডিবি আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সি প্রশংসা করেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়