অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদিকে জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর

আগের সংবাদ

চিকিৎসা গবেষণায় আগ্রহ কম : বরাদ্দ, অবকাঠামো সীমিত > প্রণোদনা স্বল্পতা > প্রাইভেট প্র্যাকটিসে মনোযোগ বেশি

পরের সংবাদ

সরকারি চাকরিজীবী : কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া এনআইডি সংশোধন নয়

প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি চাকরিজীবীদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যথাযথ কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া আর সংশোধন করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ফলে তথ্য গোপন করে যারা চাকরি নিয়েছেন, তাদের পার পাওয়ার দিন শেষ হচ্ছে।
ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চাকরি পাওয়ার পর অনেকের বেতন আটকে যায় জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সঙ্গে বয়সের মিল না থাকার কারণে। এছাড়া অন্যান্য তথ্যের গরমিলও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। এই অবস্থায় তারা ধারণা দেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এতে পাওয়া যায় তথ্য গোপনের আলামত। এতে যেমন যোগ্য প্রার্থী চাকরি থেকে বঞ্চিত হন, আবার আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হন সংশ্লিষ্টরা। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতামত ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীদের এনআইডি সংশোধন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিভাগের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠকটি এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় এনআইডি আমলে না নেয়ার বিষয়টিও উঠে আসে আলোচনায়।
গত সপ্তাহে এনআইডি মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ুন কবীর স্বাক্ষরিত বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অনেকে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য এনআইডি শাখায় আবেদন করেছেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, নিয়োগ পাওয়ার আগে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও তা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আমলে নেয়া হয়নি বা নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা গোপন করেছেন। এক্ষেত্রে চাকরি প্রাপ্তির পর বেতন নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে লিপিবদ্ধ তথ্যাদির সঙ্গে নিয়োগপত্র/সার্ভিস বইতে লিপিবদ্ধ তথ্যের তারতম্য হওয়ার কারণে বেতন নির্ধারণ সম্ভব হয় না।
এছাড়া সরকারি চাকরির বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও ভিন্ন ভিন্ন ডকুমেন্টে বয়স কম দেখিয়ে চাকরিতে আবেদনের সুযোগ পেলেও পরবর্তী সময়ে বেতন নির্ধারণ না হওয়ায় ওই সব ব্যক্তি আর্থিক ক্ষতিসহ মারাত্মক ভোগান্তি ও হয়রানির সম্মুখীন হন।
অন্যদিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যাদি আমলে না নিয়ে সরকারি দপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তির তথ্য-উপাত্ত বিকৃতি করাসহ নানা রকম অসদুপায় অবলম্বনের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। ভোটার পরিচয়পত্র নিবন্ধনকালে একটি জন্ম সনদ ব্যবহার করে। পরবর্তী সময়ে ভিন্ন আরেকটি জন্ম সনদ ব্যবহার করে চাকরি পায়। চাকরিপ্রাপ্তির পর চাহিত জন্ম তারিখ অনুসারে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হলে আবেদনকারীর বাবা-মায়ের বয়সের সঙ্গে তার নিজের বয়সের অসামঞ্জস্যতা দেখা যায়।
অনেক ক্ষেত্রে সহোদর ভাইবোনের বয়সের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি দেখা দেয়, বিশেষত চতুর্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে ব্যক্তির প্রকৃত শিক্ষাগত যোগ্যতা ও জন্ম তারিখ গোপন করে চাকরিতে যোগদানের ফলে যোগ্য ব্যক্তি চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়