পার্বত্য শান্তি চুক্তি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার

আগের সংবাদ

‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী : সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান

পরের সংবাদ

রমজানের আগেই বাজার চড়া : মাছ-মুরগি-সবজিতেও আগুন

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পবিত্র মাহে রমজানের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। এরই মধ্যে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত তা কোথায় গিয়ে ঠেকে, এ নিয়েই যত চিন্তা দরিদ্র ও নি¤œবিত্ত অসহায় মানুষের। রাজধানীর বাজারে রমজানের বেশ কয়েকটি পণ্য নতুন করে বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে চিনি, তেল, আটা-ময়দার দাম বৃদ্ধির পর তা স্থিতিশীল রয়েছে। গত কয়েক দিন ব্রয়লার মুরগির বাজারে আগুন জ¦ললেও তা নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, উল্টো মাছ ও সবজির বাজারে আরো উত্তাপ বেড়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রোজায় ইফতারি তৈরিতে সাধারণত ছোলা, অ্যাংকর ডাল, বেসন বেশি ব্যবহার হয়। গত কয়েক দিনে এসব পণ্যের দাম হু হু করে বেড়েছে। শরবত তৈরির জন্য যে ট্যাং ব্যবহার হয়, বাজারে সেটার এখন রীতিমতো সংকট। যেসব দোকানে পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও গতবারের থেকে কেজিপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমান বাজারে ট্যাং ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
গত এক মাসে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। মাসখানেক আগে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকায়, যা এখন ৯৫-১০০ টাকা। ছোলা বুটের দামও ৫-১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। এছাড়া অ্যাংকর ডাল কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ৭০-৮০ টাকা এবং বেসন ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েক মাস ধরেই বাজারে সরকার নির্ধারিত দামে তেল-চিনি মিলছে না। বেঁধে দেয়া দামে প্রতি লিটার খোলা পাম তেল ১১৭ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। একইভাবে সরকার নির্ধারিত প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৭২ থেকে ১৭৫ টাকায়। খোলা চিনির নির্ধারিত দাম ১০৭ টাকা হলেও এখনো খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল চিনি (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। মসলার বাজারে আদা-রসুনের বাড়তি দাম কমেনি। পেঁয়াজের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী। দফায় দফায় বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি এখন ২৫০-২৫৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকা। মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া-পাঙাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না। শিং ও পাবদার কেজি ৪০০ টাকা, কই ৩০০ টাকা, ট্যাংরা ৬০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজান উপলক্ষে সবজির বাজারে বেড়ে গেছে লেবুর দাম। এক হালি লেবু আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকায়। বাড়ছে বেগুনের দামও। গোল বেগুনের কেজি ৮০-১০০ টাকা। লম্বা বেগুন ৫০-৭০ টাকা, যা সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি টমেটো ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, সজনে ২০০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, শিম ও ঝিঙা ৬০ টাকা, পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা। প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, লাউ ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং এক হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়