সাভারে সাংবাদিকের গাড়িতে দুর্বৃত্তদের হানা

আগের সংবাদ

তিন কলেজের শিক্ষার্থীর সংঘর্ষ সায়েন্স ল্যাবে : ঢাকা কলেজ বন্ধ ঘোষণা

পরের সংবাদ

রাশিয়ার তেল উত্তোলন নিষেধাজ্ঞাপূর্ব অবস্থায়

প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : রাশিয়ার জ্বালানি কোম্পানিগুলো ফেব্রুয়ারিতে প্রতিদিনই অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও কনডেনসেট উত্তোলন বাড়িয়েছে। দৈনিক উত্তোলনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮ হাজার টনে, যা আগের মাসের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। রুশ সংবাদপত্র কমারসান্ট এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে দেশটির অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলন বেড়ে নিষেধাজ্ঞাপূর্ব অবস্থায় ফিরেছে। এমনকি গত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও উত্তোলন বেড়েছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে গত বছরের মার্চে রাশিয়ার জ্বালানি তেল উত্তোলন ব্যাপক মাত্রায় কমে গিয়েছিল। তবে সা¤প্রতিক মাসগুলোয় সে পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে দেশটি।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ) বলছে, ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় একের পর এক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়ার অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানি। বেঁধে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ মূল্যসীমা বা প্রাইস ক্যাপও। এরপরও সা¤প্রতিক মাসগুলোয় দেশটির জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানি প্রত্যাশার চেয়ে বেড়েছে।
আইইএর জ্বালানি তেল শিল্প ও বাজার বিভাগের প্রধান টোরিল বসনির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, রাশিয়া জ্বালানি তেলের বাণিজ্যিক রুট পরিবর্তন করার কারণেই দেশটি নিষেধাজ্ঞার ধাক্কা সামলে উঠতে সক্ষম হয়েছে। দেশটি বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবর্তে এশিয়ার দেশগুলোয় বেশি জ্বালানি তেল বিক্রি করছে।
ইউরোপ কমালেও চীন, ভারত ও তুরস্ক দেশটি থেকে জ্বালানি তেল আমদানি বড় পরিসরে বাড়িয়েছে। এছাড়া প্রাইস ক্যাপও রাশিয়াকে রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করেছে। কারণ রাশিয়া উরাল ক্রুড কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য করছে। আর এ কারণে ক্রেতা দেশগুলো এ সুযোগ লুফে নিচ্ছে।
জি৭, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অস্ট্রেলিয়া ৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ান ডিজেল ও অন্যান্য পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের ওপর প্রাইস ক্যাপ (সর্বোচ্চ মূল্যসীমা) বেঁধে দেয়। উদ্দেশ্য বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি মস্কোর জ্বালানি আয়ের প্রবাহ সীমিত করা। এছাড়া রাশিয়া থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তও কার্যকর হয় ওই দিন।
জি৭ ও জোটটির মিত্র দেশগুলো গত বছরের ৫ ডিসেম্বর রাশিয়ান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ওপর প্রাইস ক্যাপ আরোপ করে। প্রতি ব্যারেলের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দেয়া হয় ৬০ ডলার। একই দিন রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপীয় ইউনিয়নে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্তও কার্যকর হয়।
এক বছর ধরে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাচ্ছে রাশিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে কোণঠাসা করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে জি৭ ও জোটটির মিত্র দেশগুলো। রাশিয়া যুদ্ধের সিংহভাগ ব্যয়ই বহন করছে জ্বালানি আয়ের অর্থ থেকে। তাই অর্থের এ প্রবাহ সংকুচিত করতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ বন্ধ করে দিলে দাম আশঙ্কাজনক হারে বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকরা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়