জাকের সুপার মার্কেট : সংঘর্ষে সভাপতিসহ আহত ২

আগের সংবাদ

অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ : সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে’ বিস্ফোরণে নিহত ৬, আহত আরো ২৫

পরের সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন : কৃষিঋণ বিতরণ ১৮ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা

প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) কৃষিঋণ বিতরণ হয়েছে ১৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৩২ লাখ টাকা। যা পুরো অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম সাত মাস) বিতরণ হয়েছিল ১৭ হাজার ৫৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, খাদ্য ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ কারণে কৃষি ও এসএমই খাতে উৎপাদন বৃদ্ধিতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম ঘোষণা করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আবার কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে বিশেষ নির্দেশনাও রয়েছে। দেশের ব্যাংকগুলোও কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আবার কৃষি খাতে বিনিয়োগে খেলাপি হওয়ার প্রবণতাও কম। এসব কারণে সামগ্রিকভাবে ঋণ বিতরণ বাড়ছে কৃষি খাতে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ব্যাংকগুলো কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণ করেছে ১৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৩২ লাখ কোটি টাকা, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এটি তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে বিতরণকৃত ঋণের চেয়ে প্রায় এক হাজার ৬২৯ কোটি টাকা বেশি।
জানা গেছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। সে সময়ে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি ১০২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছিল। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে কৃষিঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয় ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসেই লক্ষ্যমাত্রার ৬০ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
বিতরণ করা এসব ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত আট ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার ৭৫৮ কেটি টাকা। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ১৮ হাজার ৩৮২ কোটি টাকা এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৭৭১ কোটি টাকা। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে (জুলাই থেকে জানুয়ারি) কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পার করেছে দেশের ৯ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী- ব্যাংক আল-ফালাহ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, হাবিব ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক এবং উত্তরা ব্যাংক চলতি অর্থবছরে তাদের দেয়া লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করে ফেলেছে। আবার ১৪টি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশও বিতরণ করতে পারেনি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পিছিয়ে থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৩টি ব্যাংক তাদের লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশও বিতরণ করতে পারেনি।
এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ ৫০-৬০ শতাংশ : অধিকাংশ ব্যাংকই বিতরণ করা কৃষিঋণের একটা বড় অংশ এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ করে। ফলে কৃষকেরা কম সুদে ঋণ পান না বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংক সাধারণত মূল শাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং ও এনজিওর মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ করে থাকে। মূল শাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং থেকে বিতরণ করা কৃষিঋণের সুদের হার ৮ শতাংশ। অন্যদিকে এনজিওর মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের সুদের হার ২৪ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে। দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা কৃষিঋণের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশই বিতরণ করা হয় এনজিওর মাধ্যমে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়