কাগজ প্রতিবেদক : দাম বাড়ানোর পরও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে বিদ্যুতের মূল্য কম বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের মূল্য যুক্তরাজ্যে অনেক আগেই ১০০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতেও এই মূল্য ২০ থেকে ১০০ শতাংশ বেড়েছে। যেমন জার্মানিতে ২১ শতাংশ আবার বেলজিয়ামে ৯৫ শতাংশ। সেই তুলনায় আমাদের দেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অনেক কম। সা¤প্রতিক সময়ে ৫ শতাংশ হারে দুবার বাড়ানো হয়েছে।
দেশে মূল্যস্ফীতি ও বিদ্যুতের মূল্য ৫ শতাংশ বাড়ানো নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের সা¤প্রতিক সংবাদ সম্মেলনের প্রেক্ষিতে ড. হাছান বলেন, বিদ্যুতের ইউনিট মূল্য বাংলাদেশে ৭ টাকা ৩২ পয়সা, ভারতের দিল্লিতে ১১ টাকা ১৫ পয়সা, মহারাষ্ট্রে ১১ টাকা ৩৩ পয়সা, পাঞ্জাবে ৮ টাকা ৬৩ পয়সা। যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ টাকা ৩১ পয়সা, জার্মানিতে ৪১ টাকা ৯৩ পয়সা, বেলজিয়ামে ৪৬ টাকা ৪৬ পয়সা, জাপানে ২৫ টাকা ৭৪ পয়সা। জাপানসহ অন্য দেশের কথা বাদ দিলাম, ভারতের তুলনায়ও আমাদের বিদ্যুতের মূল্য কম।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। ২৭টি দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নে মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি কোনো কোনো দেশে সেটি ২০-২২ শতাংশ ছাড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যে সার্বিক মূল্যস্ফীতি অনেক আগেই ১০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। রাশিয়াতে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ, তুরস্কে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত গিয়েছিল বর্তমানে সেটি প্রায় ৬০ শতাংশ। পাকিস্তানে ৩২ শতাংশ, আর আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে সাড়ে ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এবং আশপাশের দেশের তুলনায়ও আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতি কম। অথচ বিরোধীদল বিএনপি পৃথিবীর মানচিত্রের এই তথ্যগুলো মানুষের সামনে আড়াল করে এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায় এমন কি বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে দুর্নীতিকে যুক্ত করার চেষ্টা করে।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার বাংলাদেশকে বিশ্ব্ চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল। দুর্নীতির দায়ে খালেদা জিয়া শাস্তিপ্রাপ্ত বন্দি হয়েছিলেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর কৃপায় জেলখানার পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করছেন। আর দুর্নীতির কারণেই বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচারের কারণে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাস্তিপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়ার আরেক পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর বিদেশে পাচার করা টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। এভাবে যাদের সারা গায়ে দুর্নীতির গন্ধ, তারা যখন দুর্নীতির কথা বলে তখন তাদের গায়ের দুর্নীতির দুর্গন্ধই শুধু ছড়ায়, অন্য কোনো কিছু নয়।