উপাচার্য ড. মশিউর রহমান : সুস্থ সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে অপসংস্কৃতি রুখতে হবে

আগের সংবাদ

সংস্কারের বিরূপ প্রভাব বাজারে : আইএমএফের শর্ত মেনে গ্যাস-বিদ্যুতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে

পরের সংবাদ

কুমিল্লার মণ্ডপে কুরআন : ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় সাজা পেলেন ইকবাল

প্রকাশিত: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: মার্চ ৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় দুর্গাপূজা মণ্ডপে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখা আসামি ইকবাল হোসেনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ ১ বছর ৪ মাস সাজা পেলেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গী পূর্ব থানার এ মামলায় সাজা দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (শামীম) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নজরুল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, রোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি মূর্তির ছবি দিয়ে নেতিবাচক পোস্ট করায় এ মামলা করা হয়।
এদিন (গতকাল) মামলাটির প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। মোট ১২ সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীরা ইকবালের বিরুদ্ধে তেমন কিছু বলেননি। এরপর আসামি ইকবাল হোসেন নিজের দোষ স্বীকার করে আদালতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আসামির মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাই সবদিক বিবেচনা করে আদালত আসামি ইকবালের গ্রেপ্তারের পর থেকে জেলহাজতে থাকা পর্যন্ত ১ বছর ৪ মাস সাজা দেন। তবে এ মামলা থেকে মুক্ত হলেও তার বিরুদ্ধে আরো ১০-১২টি মামলা রয়েছে। তাই এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না ইকবাল।
এদিকে ইকবালের সাজা হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার চার্জশিট থেকে জানা যায়, টঙ্গী পূর্ব থানার দায়িত্বরত পুলিশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেন, রোকন মিয়া নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে মুর্তির ছবি দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত করে এমন পোস্ট দেন।
পরে তার বিরুদ্ধে টঙ্গী থানার পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ইকবাল হোসেনকেও এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে রোকন নিজের দোষ স্বীকার করে এরই মধ্যে সাজা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়ার দিঘির পাড়ের মূল মণ্ডপের বাইরে পূজার থিম হিসেবে রাখা হনুমানের মূর্তির ওপর আসামি ইকবাল হোসেন পবিত্র কুরআন রাখেন। এতে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ওই মণ্ডপের পাশাপাশি আক্রান্ত হয় নগরীর আরো বেশ কিছু পূজামণ্ডপ। পরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে চাঁদপুর, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
পরে বেশ কিছু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টার দিকে ইকবাল কুরআন শরিফটি রেখে যান মণ্ডপে। এ সময় হনুমানের হাতের গদাটি সরিয়ে নেন তিনি। গদা হাতে তার চলে যাওয়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। ঘটনার ১ সপ্তাহ পর ইকবালকে কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৩০ বছর বয়সি ইকবাল কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়