সাহিত্যে সৃজন-মনন : লেখকের দায়

আগের সংবাদ

পাঠ্যবই নিয়ে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

পরের সংবাদ

সেই বাবা যা বললেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভূমিকম্পের এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেছে ইতোমধ্যে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মৃত মেয়ের হাত ধরে বসে থাকা সেই বাবা বললেন, ‘আমার মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি।’ শোকে ভেঙে পড়া এই বাবা তার মেয়েকে হারানোর কথা বলতে গিয়ে নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারছিলেন না।
তুরস্ক-সিরিয়ায় শক্তিশালী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিধ্বংসী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
গত সপ্তাহে তুরস্কে আঘাত হানা ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের কিছু ছবি মানুষের মনে ব্যাপক নাড়া দিয়েছে। শোকে ভাসিয়েছে কোটি কোটি মানুষকে। এমনই একটি ছবি মেয়ে হারানো তুরস্কের মেসুত হ্যান্সারের। মেসুত বলেন, ভবন ধসে পড়ার সাথে সাথেই ইরমাক মারা গেছে। সে পালানোর কোনও সুযোগ পায়নি। হ্যান্সার বলেন, ইরমাক তার দাদীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। মেয়ের নিথর দেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধারের আগে তিন দিন সেখানে বসে কাটিয়ে দিয়েছেন তিনি।
কাহরামানমারাসের এই বাসিন্দা বলেন, ‘এটা ছিল এক বিভৎস ঘটনা। সংবাদটি শোনার পরপরই আমি সেখানে ছুটে যাই। এবং একেবারে খালি হাতেই আমার মেয়েকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে টেনে বের করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমি মেয়েকে বাঁচাতে পারিনি।’ ‘মা, বাবা কিংবা ভাইবোনকে হারানোর পাশাপাশি সন্তানকে হারিয়ে ফেলাটা অন্য স্তরের এক বেদনা,’ বলেন তিনি। হ্যান্সার যখন ধ্বংসস্তূপের কাছে পৌঁছান, তখন পরিস্থিতির ভয়ঙ্কর বাস্তবতা তার সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও আশা দেখতে পাইনি। কারণ আমার মেয়ের ওপর একটি বড় গার্ডার পড়েছিল। কোমর পর্যন্ত মুক্ত ছিল সে। কিন্তু তার কোমর থেকে শরীরের নিচের অংশ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিল। সে পিষ্ট হয়ে গেছে।
দুর্ভাগ্যবশত, ভূমিকম্পের সময় সে সেখানেই মারা যায়। তার বাঁচার কোনও সুযোগই ছিল না।’ হ্যান্সার বলেন, ‘আমি আফাদের (তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থা) সাথেও কথা বলেছিলাম। তারা যতটা সম্ভব সাহায্য করেছে। কিন্তু তারা ওই এলাকায় খনন যন্ত্র দিতে পারেনি।’
হ্যান্সার কেবল তার মেয়ের জন্যই শোকাহত নন। বরং ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে, তখন পরিবারের সদস্যরা তার মায়ের বাড়িতে ছিলেন। যেখানে তার মেয়েও ছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মা, আমার বড় দুই ভাই, আমার শ্যালিকা এবং তার ছোট মেয়ে। সেখানে আমার মেয়েসহ সাতজন ছিল। তারা সবাই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়