আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন ইরফান সেলিম

আগের সংবাদ

পদযাত্রা-সমাবেশ ঘিরে সংঘাত : আ.লীগ-বিএনপি নেতারা ছিলেন স্ব স্ব জেলার কর্মসূচিতে > আহত শতাধিক, গাড়ি ভাঙচুর

পরের সংবাদ

বলিউড : রোমান্টিক ১০ জুটি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বলিউড যুগে যুগে সেলুলয়েডে অনেক রোমান্টিক জুটি তৈরি হয়েছে। তাদের মধ্যে হাতেগোনা জুটি পেয়েছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা। কোনো কোনো জুটি তো ধ্রæপদী হয়ে আছে! বলিউডের সাদাকালো থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের সেরা প্রেমের ছবির বিচারে সর্বকালের সেরা ১০ জুটি নির্বাচন করেছে বলিউড হাঙ্গামা। তাদের নিয়ে এই আয়োজন

রাজ কাপুর-নার্গিস
‘আগ’, ‘বারসাত’, ‘আওয়ারা’, ‘শ্রী ৪২০’, ‘চোরি চোরি’, ‘জাগতে রাহো’ এমন বেশ কয়েকটি কালজয়ী ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন রাজ কাপুর ও নার্গিস। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত ‘আওয়ারা’। পর্দায় এ জুটির রসায়ন আগুন ধরিয়ে দিত বলা চলে! বাস্তবেও তাদের মধ্যে মন দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশিদিন টেকেনি। তাদের শেষ দৃশ্য ছিল ‘জাগতে রাহো’ ছবিতে ‘জাগো মোহন পেয়ারে’ গানে রাজ কাপুরের মুখে নার্গিসের পানি ঢেলে দেওয়া।

দীলিপ কুমার-মধুবালা
‘মুঘল-এ-আজম’ ছবিতে বাস্তবের প্রেমিক-প্রেমিকা দীলিপ কুমার ও মধুবালা অসাধারণ রসায়ন তৈরি করেন। আরও কয়েকটি ছবি ধ্রæপদী হয়েছে তাদের একত্র হওয়ার সুবাদে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘অমর’ (১৯৫৪)। তবে বি.আর চোপড়ার ‘নয়া দৌড়’ ছবিতে মুখ দেখানোর আগেই ভেঙে যায় দীলিপ-মধুবালার সম্পর্ক। পরবর্তী সময়ে মধুবালার জায়গায় নেওয়া হয় বৈজয়ন্তীমালাকে।

রাজেশ খান্না-শর্মিলা ঠাকুর
নায়ক ছিলেন পার্থিব, নায়িকা অত্যাধুনিক নারী। নায়ক যখন প্রাণবন্ত, নায়িকা হেঁয়ালি মেজাজের। এই ছিল রাজেশ খান্না ও শর্মিলা ঠাকুর জুটি। ‘আরাধনা’ (১৯৬৯), ‘সফর’ (১৯৭০), ‘অমর প্রেম’ (১৯৭২), ‘দাগ : অ্যা পয়েম অব লাভ’ (১৯৭৩) ছবিতে তাদের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এ ছাড়া ‘ছোটি বহু’ (১৯৭১), ‘রাজা রানী’ (১৯৭৩), ‘ত্যাগ’ (১৯৭৭) ছবিগুলো বক্স অফিসে সুবিধা করতে না পারলেও তাদের জুটি ছিল জাদুময়।
অমিতাভ বচ্চন-জয়া বচ্চন
হৃষিকেশ মুখার্জি তার ছবিগুলোতে লম্বা নায়ক ও বেঁটে নায়িকার জুটিকে দারুণভাবে তুলে ধরেছিলেন। বাস্তবের দম্পতি অমিতাভ ও জয়া ভাদুড়ি জুটির শুরুর দিকের দুই ছবি ‘বানসি বিরজু’ (১৯৭২) ও ‘এক নজর’ (১৯৭২) মুখ থুবড়ে পড়ে। ‘জঞ্জির’ (১৯৭৩) অন্যমাত্রা দিয়েছে তাদের রসায়নকে। এরপর একে একে ‘অভিমান’ (১৯৭৩), ‘মিলি’ (১৯৭৫), ‘শোলে’ (১৯৭৫), ‘চুপকে চুপকে’ (১৯৭৫) ছবিগুলো সুপারহিট হয়। যশ চোপড়ার ‘সিলসিলা’ (১৯৮১) তাদেরকে কাছাকাছি এনেছে। এরপর আর একসঙ্গে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে।

ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী
বাস্তবে ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী দম্পতি। ‘শারাফত’ (১৯৭০), ‘রাজা জনি’ (১৯৭২), ‘সীতা অউর গীতা’ (১৯৭২) ও ‘শোলে’ (১৯৭৫) ছবিতে অসাধারণ রসায়ন গড়েছিলেন তারা। ১৯৭৫ সালের পর আর একসঙ্গে কাজ করেননি এ দুজন।
ঋষি কাপুর-নীতু সিং
এই বিন্দাস জুটি একসঙ্গে অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। পর্দায় তাদেরকে বরাবরই স্বতঃস্ফূর্ত লেগেছে। এমনকি অমিতাভ বচ্চনকেন্দ্রিক ছবি ‘কাভি কাভি’ (১৯৭৬) ও ‘অমর আকবর অ্যান্থনি’ (১৯৭৭) ছবিতেও ঋষি-নিতু ঠিকই আলাদাভাবে নজর কেড়েছেন।

অমিতাভ বচ্চন-রেখা
এ জুটিকে নিয়ে নতুন করে কি বলার আছে? ‘সিলসিলা’য় (১৯৮১) তাদের রসায়ন ছিল মুগ্ধকর। তাদেরকে প্রথম একসঙ্গে দেখা যায় ‘দো আনজানে’ (১৯৭৬) ছবিতে। এর পরের বছর ‘আলাপ’-এ পাওয়া গেছে এ জুটির আরেকটি দুর্দান্ত কাজ।

নাসিরুদ্দিন শাহ-শাবানা আজমি
অমিতাভ-রেখার শৈল্পিক সব কাজের সময়ও ভারতীয় চলচ্চিত্রে অসাধারণ কৃতিত্ব রেখেছেন নাসিরুদ্দিন শাহ-শাবানা আজমি জুটি। গৌতম ঘোষের ‘পার’ (১৯৮৪), শেখর কাপুরের ‘মাসুম’ (১৯৮৩), মৃণাল সেনের ‘খন্ডর’ (১৯৮৪) ও ‘জেনেসিস’ (১৯৮৬), ‘স্পর্শ’ (১৯৮০) এবং ‘রাইস প্লেট’ (২০০৭)-এর মতো ছবিতে তাদের সহজাত অভিনয় হিন্দি ছবিকে সমৃদ্ধ করেছে।
রাজেশ খান্না-মুমতাজ
রাজেশ খান্নার সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুরের জুটি যেমন আলোচিত ছিল তেমনটাই ছিল মুমতাজের সঙ্গেও। তাদের অভিনীত ছবিগুলোর গান আজও জনপ্রিয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ‘দিল নে দিল কো পুকারা’ (দো রাস্তা), ‘গোরে রঙ পে না ইতনা গুমান কর’ (রোটি), ‘জয় জয় শিব শঙ্কর’ (আপ কি কসম), ‘শুন শম্পা শুনতারা’ (আপনা দেশ) ও ‘আনা হে তো আও মানায়েঙ্গে নেহি’ (বন্ধন)।

শাহরুখ-কাজল
‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিটিই যথেষ্ট, এ জুটি নিয়ে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই।

:; মেলা ডেস্ক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়