আমীর খসরু : রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ নেই

আগের সংবাদ

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ : পাসের হার কমলো ৯ শতাংশ

পরের সংবাদ

সংসদে শিক্ষামন্ত্রী : শিক্ষার কারিকুলাম নিয়ে মিথ্যাচার-অপপ্রচার হচ্ছে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কারিকুলামে সা¤প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দেয়ার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সা¤প্রদায়িক শক্তিকে উসকানি দিয়ে কোনো কারিকুলাম তৈরি হয় না, কারিকুলাম নিয়ে যদি কেউ মিথ্যাচার, অপপ্রচার করে সেই দায় কিন্তু সেই অপশক্তির, সেই দায় নিশ্চয়ই কারিকুলামের নয়।
গতকাল মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ বিল, ২০২৩ পাসের জন্য সংসদে উপস্থাপনকালে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের অভিযোগ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
এর আগে বিলটি পাসের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে চারটি ‘সি’ মানা হচ্ছে না। এগুলো হলো ক্রিটিক্যাল থিংকিং, ক্রিয়েটিভিটি, কমিউনিকেশন ও কোলাবরেশন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ চারটি সি অর্জনে বেশ ব্যর্থ হচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের এখন ‘সুপার ইউনিভার্সিটি’ দরকার যে বিশ্ববিদ্যালয় পোস্ট ডক দেবে। তিনি বলেন, আমাদের কোনো ‘ফরেনসিক’, ‘ব্যালস্টিক’ এবং ‘ল’ ইউনিভার্সিটি নেই। এখন সময়ের দাবি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করা। গবেষণার মান বাড়ানোর দরকার। বিদেশগামীদের জন্য টেকনিক্যাল শিক্ষা বা চাহিদা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় না হলে রেমিটেন্স কমবে। তিনি এসময় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম মন্তব্য করে বলেন, শিক্ষা খাতে আমাদের পরিবারগুলোকে ৭১ শতাংশ ব্যয় বরাদ্দ করতে হয়, তার পরেও চাকরির নিশ্চয়তা নেই। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রীলঙ্কার চেয়েও খারাপ। এসবের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে র‌্যাংকিংয়ের কথা তো চিন্তাই করা হতো না। গত কয়েক বছর ধরে র‌্যাংকিংয়ের ?উপর বিশেষভাবে জোর দেয়ায় যেসব ফ্যাক্টরের উপর র‌্যাংকিং নির্ভর করে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন সেদিকে মনোযোগী হয়েছে। গত দু’বছর দেখছি আমাদের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এমনকি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও র‌্যাংকিংয়ে আগের তুলনায় উপরের দিকে উঠে আসছে। কিন্তু আমাদের যেতে হবে অনেক অনেক দূর। শিক্ষাঙ্গণে রাজনীতি, টেন্ডারবাজির কথা বলা হয়েছে, এর আগে অন্যান্য সরকারের সময় কী অবস্থা ছিল সেটা আমরা জানি। নিত্যদিন হত্যাকাণ্ড আমরা দেখেছি। শেখ হাসিনার সময়ে এসেই শিক্ষাঙ্গন শান্ত, সেশন জট নেই। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যাই বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় এই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু শেখ হাসিনার সরকারের সময়ই হয়েছে।
এছাড়া সময়ের প্রয়োজনে যা যা প্রয়োজন হবে অবশ্যই সেগুলো স্থাপিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আর্থিক বরাদ্দ কমের কথা বলেছেন। আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে, এর মধ্যেও যতদূর সম্ভব আমরা দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর হাতেই আজকে যেমন মেগা প্রকল্প হচ্ছে, এগুলো জরুরি, এগুলো যখন হয়ে যাবে তার পরে শিক্ষা মেগা প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে, আরো অনেক বেশি বরাদ্দ আমরা পাব এটা আমি বিশ্বাস করি। ংতিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার চেয়ে আমাদের শিক্ষার অবস্থা খারাপ বলা হয়েছে। বহুদিন আগে আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন তাদের শিক্ষিতের হার শতভাগ ছিল। সেই দেশ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
আর বাংলাদেশকে একসময় অন্যায়ভাবে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হয়েছিল, সেই দেশ আজ উন্নয়নের বিস্ময়, তফাতটা এখানেই। শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে যারা কান্নাকাটি করেন তাদের সবাইকে একটু বলতে চাই সারা বিশ্বে নানা রকম প্রতিযোগিতায় আমাদেরই সন্তানেরা একেবারে গ্রাম-গঞ্জ থেকে উঠে গিয়ে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে পুরস্কার নিয়ে আসছে, সেটি যেন আমরা মনে রাখি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়