চট্টগ্রাম অফিস : ঘুষ ছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কোনো ফাইলের কাজ হয় না- এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে ঘুষ লেনদেনের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদক। দালালের মাধ্যমে এই ঘুষ লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূলত কাস্টমসের শুল্কায়ন প্রক্রিয়ায় ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে এ অভিযান চালানো হয়। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এই অভিযান চালায়।
দুদক জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযানে ঘুষ লেনদেনের বিষয় সরাসরি প্রমাণ করতে না পারলেও অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
অসাধু কর্মকর্তাদের পছন্দসই দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন প্রক্রিয়া সম্পাদন হয়। এছাড়া কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাবের কার্যক্রমেও নানা অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয় এবং দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হক বলেন, ঘুষ ছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কোনো ফাইলের কাজ হয় না- এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রাম কাস্টমসে অভিযান চালানো হয়। সকাল থেকে ছদ্মবেশে অভিযান চালিয়ে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া অবলোকন করা হয়। এ সময় ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে সরাসরি প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। তিনি বলেন, কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাবের কার্যক্রমেও নানা অসঙ্গতি দেখা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। সেখানে ৭, ৫ নম্বর সেকশনসহ বেশ কয়েকটি দপ্তরে গিয়ে ফাইল সংগ্রহ করা হয়। ওই ফাইলগুলোর রেকর্ডপত্র যাচাই করে এ বিষয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।