ক্রোয়েশিয়া : ক্রিমিয়া কখনোই আর ইউক্রেনের অংশ হবে না

আগের সংবাদ

পাতালরেল যুগে বাংলাদেশ : ১০০ সেকেন্ড পর পর ট্রেন, ভূগর্ভে হবে ১২টি তিনতলা স্টেশন

পরের সংবাদ

ডিএসসিসি মেয়র : হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩ , ১:২৭ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অংশের সৌন্দর্যবর্ধন ও ব্যবহার উপযোগী করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার দুপুরে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিমতলী থেকে ফুলবাড়িয়া পর্যন্ত পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের অবস্থা খুব বেসামাল। বিভিন্নভাবে দখল অবস্থায় রয়েছে। খুবই নোংরা করে রাখা হয়েছে। এসব দখলমুক্ত করে ফ্লাইওভারের নিচে সৌন্দর্যবর্ধন ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আটটি অংশে বিভক্ত করেছি। ঢাকাবাসীর চাহিদা অনুযায়ী এবং এলাকার পারিপার্র্শ্বিকতা বিবেচনা করে আটটি অংশেই খুব দ্রুত কাজ শুরু করব।
জনগণের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়েই ফ্লাইওভারের নিচের অংশে সৌন্দর্যবর্ধন ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে শেখ তাপস বলেন, ঢাকাবাসীর চাহিদা বিবেচনা করে আমরা এখানে কাজ করব। জনগণ এখানে সৌন্দর্যবর্ধন না যাতায়াত সুবিধা চায়, নাকি হাঁটার পথ কিংবা কোনো ধরনের অবকাঠামো চায়- এসব বিষয় আমরা পর্যালোচনা করব। কারণ চাহিদা বিবেচনায় না নিয়ে কোনো কার্যক্রম নেয়া হলে তা নগরবাসীর উপকারে আসবে না। আমরা পরিকল্পিতভাবে এগোচ্ছি। হয়তোবা একটু সময় লাগবে। কিন্তু এটা সম্পন্ন হলে সবাই উপকৃত হবে।
কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, কেমিক্যাল গোডাউন স্থানান্তরে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। আমাদের জানানো হয়েছিল যে, ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব গোডাউন স্থানান্তর করা হবে। কিন্তু এখন জানুয়ারিও পার হয়ে গেল। এখনো স্থানান্তরিত হয় নাই। আমি আশা করব যে, এই ফেব্রুয়ারিতেই স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে তিনি বলেন, এই পার্ক নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য দেয়া হচ্ছে। এখন এলাকার মানুষ সেটা উপভোগ করছে। ওই উদ্যান দখলে ছিল। সেখানে মাদকাসক্তরা ছিল, ভবঘুরেদের আনাগোনা ছিল। সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। সেখানে যারা ঘুরতে আসেন তারা যেন সেখানকার নান্দনিক পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন এবং সেখানে আগত দর্শনার্থীদের খাওয়া-দাওয়া নিশ্চিত করতে একটি অস্থায়ী খাবারের দোকান দেয়া হয়েছে। সেখানে একটি আদালত রয়েছে, বিশাল জনসমাগম হয়। ইজারাদারদের মাধ্যমে আমরা পার্কটি পরিষ্কার রাখছি। মাদকাসক্ত ও ভবঘুরে মুক্ত রাখছি। এখন সেখানে বেষ্টনী দেবো, দুটো ফটক রাখব। যাতে করে বাহাদুর শাহ পার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। সুতরাং বাহাদুর শাহ পার্কের ঐতিহ্য বিনষ্ট করার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে মেয়র সবুজবাগের মানিকদিয়া ক্লাবসংলগ্ন এলাকায় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়