চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

শেরপুরে দুমাসে অর্ধশতাধিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি : ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে কৃষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নাহিদ আল মালেক, শেরপুর (বগুড়া) থেকে : বগুড়ার শেরপুরে পল্লী বিদ্যুতের মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরির হিড়িক পড়েছে। গত দুই মাসে প্রায় অর্ধশতাধিক বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। ফলে ইরি-বোরো মৌসুমে চাষাবাদ নিয়ে আশংকা দেখা দিয়েছে কৃষকদের মাঝে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাস থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ভবানীপুর, সীমাবাড়ী, কুসুম্বী, বিশালপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশত সেচ যন্ত্রের বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি হয়। আবার চুরির পর সংঘবদ্ধ চক্রটি তাদের মোবাইল নম্বর কৌশলে রেখে যায়। সেই নম্বরে যোগাযোগ করে ৪/৫ হাজার টাকা বিকাশ করলেই চুরি যাওয়া মিটার ও ট্রান্সফরমার ফেরত পাচ্ছেন কেউ কেউ।
শেরপুর উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের ধনকুন্ডি গ্রামের সেচ গ্রাহক জাব্বারুল মনির জামাল জানান, গত ১১ জানুয়ারি আমাদের জমির গভীর নলকুপের পল্লী বিদ্যুতের মিটার চুরি হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো হদিস পাইনি।
শেরপুর উপজেলার ৭নং ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ৯ জানুয়ারি আমার নিজের একটিসহ ৪টি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়। পরে তাদের রেখে যাওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে বিকাশে ৫ হাজার টাকা দিয়ে মিটারটি উদ্ধার করি। বিষয়টি শেরপুর থানা পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মকবুল হোসেন জানান, ইরিবোরো মৌসুমে ধান ও ভুট্টার জন্য কৃষকদের জন্য প্রয়োজন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের। এ সময় সেচযন্ত্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চুরির ঘটনায় কৃষকেরা আতংকে ভুগছেন।
বগুড়া পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ শেরপুর এর ডিজিএম মো. মাহমুদুর রহমান জানান, শেরপুর উপজেলায় এ মৌসুমে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাদি চুরি বেড়েছে। এ পর্যন্ত ১০টি বৈদ্যুতিক মিটার ও ১৫টি সেচ যন্ত্রের ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এদের কেউ কেউ আবার বিকাশে টাকা দিয়ে মিটার ফেরত পেয়েছে বলে শুনেছি। ইরি বেরো সেচ মৌসুমকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র এই কাজ করছে বলে তিনি দাবি করেন।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লাল মিয়া জানান, বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির কথা শুনেছি। কয়েকটির বিষয়ে লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। ইতোমধ্যে এক ব্যক্তিকে চুরি যাওয়া মিটার বের করে দেয়ার কথা বলে টাকা দাবি করার অভিযোগে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া সংঘবদ্ধ চোর চক্রকে ধরতে পুলিশ বেশ তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা জানান, সেচ মৌসুমের শুরুতেই সেচযন্ত্রের বৈদ্যুতিক মিটার ও ট্রান্সফরমার চুরি করা আবার তা টাকার বিনিময়ে ফেরত দেয়া এ ধরনের অভিযোগ আমরা শুনেছি। এ ব্যাপারে কৃষকদের সজাগ থাকতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনকে এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁেজ বের করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়