চট্টগ্রামে ফয়েস লেক বেসক্যাম্প উদ্বোধন

আগের সংবাদ

কাটবে যেসব সংকট : আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ

পরের সংবাদ

ঘুষ ছাড়া স্বাক্ষর করেন না বাউফলের শিক্ষা কর্মকর্তা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৩১, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বাউফলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নিজাম উদ্দিন চৌধুরী নামের এক শিক্ষক এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সিনিয়র অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর ডাকযোগে বিভিন্ন দপ্তরে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক উপজেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপনে প্রত্যয়নপত্র দিতে ৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমপিও ছাড় ও উচ্চতর গ্রেডের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে কাগজে স্বাক্ষর করেন। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে ফাইল আটকে রাখেন।
সম্প্রতি নতুন কারিকুলামের ওপর মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৯৬ জন শিক্ষকের শিক্ষাক্রমবিষয়ক প্রশিক্ষণের জন্য ৪৭ লাখ ২ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে। এর মধ্যে ৪৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা খরচ হয়। বাকি ৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা শিক্ষা কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের কলম, প্যাড ও ফোল্ডার বাবদ ৯৩ হাজার ৯৬০ টাকা, নাস্তা বাবদ ২৯ হাজার ৯৪ টাকা, প্রশিক্ষণের ভেন্যু ব্যবস্থাপনা বাবদ ৫৫ হাজার, ডাটা এন্ট্রি বাবদ ৬ হাজার এবং সাপোর্ট স্টাফ বাবদ ১৫ হাজার টাকা খরচ দেখিয়ে উদ্বৃত্ত টাকা শিক্ষা কর্মকর্তা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, প্রশিক্ষণার্থীদের নি¤œœমানের নাস্তা এবং ফোল্ডারসহ অন্যান্য উপকরণ দেয়া হয়েছে। এসব কাজে তাকে সহায়তা করেছেন উপজেলা আইসিটি এন্ড ট্রেনিং রিসোর্স ফর এ্যডুকেশন (ইউআইটিআরসিই) বিভাগের ল্যাব এসিসট্যান্ট মো. রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সিনিয়র অফিস সহকারী ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মো. জালাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা কর্মকতা কোনো কাজ সম্পর্কেই অফিসকে অবহিত করেন না। নিজের মতো করে কাজ করে যাচ্ছেন। আমারা জিজ্ঞেস করলে খারাপ ব্যবহার করেন।
তিনি আরো বলেন, গত ৩ জানুয়ারি একটি মাদ্রাসার প্রত্যয়নপত্র তৈরি করে শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হকের কাছে স্বাক্ষরের জন্য গেলে তিনি টাকা দাবি করেন। মাদ্রাসাটি আমার গ্রামের কোনো টাকা চাইতে পারিনি। কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা টাকা ছাড়া প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিষয়টি নিয়ে কথা কাটাকাটিও হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিনকে চাকরিচ্যুতি করার হুমকি দেন। এ বিষয়ে তিনি গত ১০ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ঘুসগ্রহণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, প্রত্যয়নপত্র ও এমপিও ছাড়, উচ্চতর গ্রেড, শিক্ষক এবং কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি কোনো টাকা পয়সা নেন না। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের টাকা তিনি আত্মসাৎ করেননি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি এসব মিথ্যা অভিযোগের ব্যাপারে অফিস সহকারী জালাল উদ্দিনকে দায়ী করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়