কাগজ প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে পেছনে নিতে নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা নানা ধরনের মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়াচ্ছে। তারা কখনো এদেশের মানুষের ভালো চায় না। বিগত দিনের মতো আগামীতেও যুবলীগ রাজপথ আগলে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশিত পথে মানুষের কল্যাণে, মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করবে। গতকাল শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ‘বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে যুবলীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে পেছনে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। তারা নানা ধরনের মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব ছড়াচ্ছে। আমাদের প্রতিটি জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এবং ইউনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। বলতে হবে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়নি। বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আপনারা শেখ হাসিনার পাশে থাকুন, নৌকার পাশে থাকুন, নৌকায় ভোট দিন।
আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য এডভোকেট তারানা হালিম বলেন, যারা স্যাংশন নিয়ে কথা বলেন তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া তৎকালীন আমেরিকার পরারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্যাংশন চেয়েছেন। যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভেঙে পড়ে, দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়, খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়, বেকার সমস্যা বাড়ে, মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। এটাই হলো বিএনপির আসল চেহারা। তারা কখনই এদেশের মানুষের ভালো চায় না।
সভাপতির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপির মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না, মানবাধিকারের কথা মানায় না। তাদের হিংসাত্মক রাজনীতি আর সন্ত্রাসের কারণে নতুন প্রজš§ রাজনীতি করতে চায় না। যারা একুশে আগস্ট ঘটিয়েছে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে, মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে, কৃষকের বুকে গুলি চালিয়েছে, জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটিয়েছে, তাদের সব অপকর্মের মেডেল আছে। আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপির প্রধান শত্রæ এদেশের সাধারণ জনগণ।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, রফিকুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান পবন, নবী নেওয়াজ, মৃনাল কান্তি জোয়াদ্দার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, হেলাল উদ্দিন, জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদাসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতারা।