মাদকবিরোধী অভিযান : রাজধানীতে গ্রেপ্তার ৭০

আগের সংবাদ

রাজশাহীর জনসভায় শেখ হাসিনা : আ.লীগ কখনো পালায় না

পরের সংবাদ

চোরদের ডাটাবেজ করছে ডিএমপি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল চুরি, বাসা-বাড়িতে গ্রিল কেটে চুরির মতো অপরাধ রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। চোরদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ তৈরি করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একাধিক মামলা থাকার পরেও বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তারের পর খুব সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। পরবর্তীতে জামিনে বেরিয়ে আবারো একই ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে তারা। এক কথায় তাদের বলা চলে পেশাদার চোর। ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চুরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এসব চোর চক্রের সদস্যদের। ডিএমপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএমপির কর্মকর্তারা বলছেন, একের অধিক মামলা রয়েছে এমন চোরদের সংখ্যা নিরূপণ করে ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। তারা আরো বলেন, একাধিক মামলা থাকার কারণে জামিনে বের হয়ে বিভিন্ন সময় আদালতে হাজিরা শেষে ফেরার সময় কোথাও না কোথাও চুরির ঘটনা ঘটিয়ে চলছে চোর চক্রের সদস্যরা। যারা বিভিন্ন চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছে তাদের ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। কর্মকর্তারা বলছেন, আগে থানাগুলো এ ধরনের চোর চক্রের ডাটাবেজের কাজ করত। এখন সেন্ট্রালি করা হচ্ছে। ডাটাবেজ হলে, কারা বিভিন্ন ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত সেসব বিষয়গুলো খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে। যে কোনো মামলার অপরাধী শনাক্তে এই ডাটাবেজ ভূমিকা রাখবে। যে কোনো অপরাধজনিত ঘটনার ক্লু বের করা, এভিডেন্স বের করা, কারা এ ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত এসব বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে থাকে।
বিভিন্ন সময়ে অভিযানে বিভিন্ন চোরদের গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানতে পারেন, কিছু কিছু চোর রয়েছে যারা দিনে চুরি করে, তারা রাতে চুরি করে না। আবার কেউ কেউ রাতে করে, দিনে করে না। কিছু চোর রয়েছে যারা বিশেষ করে প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো খেয়াল করে। যেমন- মোটরসাইকেলে জিপিআরএস কিংবা প্রযুক্তিগত কোনো বিষয় থাকলে সেসব মোটরসাইকেল চুরি করে না। যদি কোনো অ্যালার্ম সিস্টেম থাকে বা বিশেষ কোনও তালা থাকে যেগুলো ভাঙা সম্ভব না সেসব মোটরসাইকেল তারা চুরি করে না। শুধু অনিরাপদ ও অরক্ষিতভাবে পার্কিংয়ে থাকা বিভিন্ন মোটরসাইকেলই তাদের টার্গেট।
এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, কোন চোর কী ধরনের চুরির সঙ্গে জড়িত, কোন এলাকা কিংবা কোন সময়গুলোকে চোররা বেছে নিচ্ছে এ রকম নানা তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় চোরাই মোটরসাইকেল অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রির বিষয়গুলো নজরে এসেছে, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়