শিমুর মেয়েকে বাবা : ‘মা ভুল করেছি মাফ করে দিও’

আগের সংবাদ

স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি : যে ফর্মুলায় স্মার্ট বাংলাদেশ

পরের সংবাদ

সংগীতে ৪৫ বছর : রকস্টার মাকসুদ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সত্তর দশকে জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকে ক্যারিয়ার শুরু। এরপর থেকে তিনি মাতিয়ে রেখেছেন আজো। তাকে কেউ কেউ ম্যাক নামেও চেনেন। ‘মেলায় যাই রে’ গানটি বললে তাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হয় না। ব্যান্ড তারকা মাকসুদুল হকের পেশাদার সংগীতজীবনের শুরু ১৯৭৮ সালে। ২০২৩ সালে তার সংগীতজীবনের ৪৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই সংগীত তারকার সংগীতজীবনের বর্ণাঢ্য ৪৫ বছর উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ। ‘মাকসুদ-৪৫ ইয়ার্স ইন মিউজিক’ শিরোনামে কনসার্ট আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে মাকসুদের সংগীতজীবনের ৪৫ বছর। আগামী ১৮ মার্চ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে এই কনসার্ট হবে।
কনসার্টের বিস্তারিত জানাতে বুধবার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আয়োজকরা জানান, কনসার্টে মাকসুদের ঢাকা ব্যান্ড ছাড়াও পাঁচটি ব্যান্ড দলের শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। তারা হলো মাইলস, পেন্টাগন, দলছুট, ওয়ারফেইজ ও ফিডব্যাক। টিকেটের বিনিময়ে মিলনায়তনে বসে ১ হাজার দর্শক কনসার্টটি উপভোগ করতে পারবেন। তবে টিকেটের মূল্য এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই টিকেট প্রাপ্তিস্থান এবং মূল্য তালিকা জানিয়ে দেয়া হবে।
ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘এটি নিছক কোনো কনসার্ট না, এটি হচ্ছে অন্যান্য মেডিকেল কলেজ কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও উৎসাহ জোগানো, তারা যেন মূলধারার সাংস্কৃতিক আয়োজনে অনুপ্রাণিত হয়। এখনকার সময়ে শুধু ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ভাইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে ছাত্রছাত্রীদের চোখ এবং জীবন। তাই তাদের এসব সামাজিক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করার জন্যই এই ব্যতিক্রমী আয়োজন।’ মেডিকেল কলেজ হয়েও এ রকম কনসার্ট আয়োজনের কারণ ব্যাখ্যা করে ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি গান পছন্দ করি। নব্বই দশকের গান ছাড়া আমি ঘুমাতে পারি না। ঘুমানোর আগে আমি এখনো সেই ব্যান্ডের সোনালি দিনের গানগুলো শুনি। এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো হওয়া উচিত। আমার ছেলেটা ড্রামস শিখছে, আমি মনে করি ও যতক্ষণ গানের সঙ্গে থাকবে সে খারাপ হবে না।’
ব্যান্ডশিল্পী মাকসুদুর হক বলেন, ‘গান করছি তো অনেক বছর ধরেই। আমার মধ্যে খুব ইচ্ছা হচ্ছিল একটা কনসার্ট আয়োজন করা যায় কিনা? কিন্তু এ রকম একটা বড় আয়োজন করতে গেলে যে স্পন্সর খোঁজাসহ নানা রকম জটিলতা থাকে। অনেক ইভেন্ট প্রতিষ্ঠান হয়তো আছে, কিন্তু তাদের বাণিজ্যিক ব্যাপারগুলোতে ঠিক সায় পাচ্ছিলাম না। আশীষের সঙ্গে পরিচয় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে। গান পাগল একজন ডাক্তার। ওকে ভাবনাটা বলতেই তিনি নিজেই আয়োজনের আগ্রহের কথা জানান।’ ‘শিল্পীকে ভালোবেসে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ যে আয়োজনটি করছে, এটি সম্ভব হচ্ছে কারণ এই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশীষের জন্য। একজন গানপাগল ডাক্তার আশীষ, তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক এসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতি ও ব্যান্ড দল মাইলসের কর্ণধার হামিন আহমেদ, ফিডব্যাকের দলনেতা ও সংগীত পরিচালক ফুয়াদ নাসের বাবু, ওয়ারফেজ ব্যান্ডের দলনেতা ও বামবার সহসভাপতি শেখ মনি রুপম আলম (টিপু), ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ডেপুটি ডিরেক্টর ডা. কাজী রফিকুল আলম, হাসপাতালের মিডিয়া চিফ কোঅর্ডিনেটর এবং এ আয়োজনের ইভেন্ট পার্টনার ফ্যাক্টর থ্রি স্যুশনস প্রধান নির্বাহী মো. সাহেদ হোসেন। বামবা সভাপতি হামিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, এই উপমহাদেশের ব্যান্ড চর্চায় বাংলাদেশ সেরা। এই বাংলাদেশের ব্যান্ডের এই যে উচ্চতায় স্থান করে নেয়া, তার পেছনে যে কয়েকজন মানুষের অবদান রয়েছে, তাদের অন্যতম মাকসুদ।’ সংগীতসহ কোনো শিল্পই ফ্রি হওয়া উচিত না উল্লেখ বামবা সভাপতি বলেন, ‘আমরা সবশেষ যে বামবার কনসার্ট করেছি, সেখানেও টিকেটি ছিল। টিকেট থাকা উচিত এবং শিল্পীর সম্মান ও সম্মানী যথাযথভাবে বজায় রাখা উচিত।’
– মেলা প্রতিবেদক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়