‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান স্মরণে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজন

আগের সংবাদ

মূল্যস্ফীতির চাপে সাধারণ মানুষ : জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়েছে, কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

পরের সংবাদ

লাইন ধরেও ওএমএসের চাল পাচ্ছে না শত শত পরিবার : সাটুরিয়া

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় ডিলারের বিক্রয় কেন্দ্র চত্বরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও চাল পাচ্ছেন না শত শত পরিবার। ওএমএসের চাল নিতে আসা এসব দুস্থ পরিবারের নারী পুরুষ সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অবশেষে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। নি¤œ ও নি¤œ-মধ্যবিত্তের মানুষরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের হিসাব মিলছে না কিছুতেই। মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব হয় সে জন্য সরকার ওএমএসের বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মাঝে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি করছে। কিন্তু এসব চাল নিতে আসা শত শত নারী পুরুষ দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চাল পাচ্ছেন না। তাই বেশির ভাগ নারী পুরুষ হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
সরজমিন মঙ্গলবার সাটুরিয়া বাজারের ডিলার রঘুনাথ সাহার বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে শত শত নারী পুরুষকে শীতে জবু থবু হয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়। সপ্তাহে রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার এই পাঁচ দিন ওএমএস ডিলার পয়েন্টে সুলভ মূল্যে চাল বিক্রি করা হয়। তবে জন প্রতি ৫ কেজির অধিক দেয়া হয় না প্রতিজনকে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল বলছেন ভোক্তাসহ সব শ্রেণির মানুষ। খোলা বাজারে মোটা চালের কেজি ৩০ টাকা। সে চাল খাদ্য অধিদপ্তরের ওএমএসের (ওপেন মার্কেট সেল) মাধ্যমে ৩০ টাকায় কেনা যায় বলে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
চাল না পেয়ে হতাশ হয়ে হালিমা বেগম (৫০) জানান, সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম চালের জন্য। কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর ডিলারের লোকজন বলে চাল নেই, শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার পরিবারের ৮ সদস্য নিয়ে আমি কি কবর। এদিকে অপেক্ষা করে অনেক সময় পার হয়ে গেছে। এখন অন্য কাজও করতে পারব না। আমার মতো আরো অনেকেই চাল পাইনি। এমন অবস্থা হলে আমাদের উপায় হবে কি? গবিরদের নিয়ে কেন এমন করা হয়।
সামসুল নামে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ জানায়, একটু কম দামে চাল পাওয়ার আশায় সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো চাল পাইনি। যদি বাড়িতে থেকে কোনো কাজ করতাম তবুও কোনো না কোনো উপায় হতো।
সাটুরিয়া বাজারের ডিলার রঘুনাথ সাহা জানান, সরকারিভাবে ১ টন করে চাল বরাদ্ধ পাওয়া যায়। তা প্রতি জনকে ৫ কেজি করে মোট ২০০ জনকে দিতে পারি, চালের স্বল্পতা থাকায় সবাইকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই কারণেই অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়েও চাল পাচ্ছে না। বরাদ্ধের পরিমাণ বেশি হলে সবাইকে দেয়া সম্ভব হবে।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা জানান, উপজেলায় দুটি ডিলারের মাধ্যমে দুই টন চাল ওএমএসের মাধ্যমে নি¤œ আয়ের মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পর্যায়ক্রমে বরাদ্ধের পরিমাণ বাড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়