এম রমজান আলী, রাউজান (চট্টগ্রাম) থেকে : তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে বোরো ধান আবাদ ও রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন রাউজান উপজেলার কৃষক-কৃষানিরা। এই উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, গহিরা ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের কৃষকরা এখন বীজতলা থেকে চারা উঠিয়ে জমিতে রোপণ করতে শুরু করেছেন।
প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক-কৃষানিরা। কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
নদীর পাড়ে, খালের ধারে, রাস্তার পাশের জমিতে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা।
কোথাও গভীর নলকূপ থেকে চলছে জলসেচ আবার কোথাও চলছে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের কাজ।
বোরো ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। চলছে জমি প্রস্তুত, ক্ষেত পরিচর্যা আর বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণের কাজ। কৃষকরা বলেছেন, এবার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো চাষাবাদের জন্য সেচ সুবিধা নিশ্চিত করায় বোরো চাষে আগ্রহী হয়েছেন। হলদিয়া পাহাড়ের পাদদেশে থাকা শত শত একর জমিতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশে জমিতে চারা লাগাতে দেখা গেছে সমতল-পাহাড়ের নারী-পুরুষদের। এ কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে কেউ বীজতলা থেকে বীজ উঠাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ চারা লাগাচ্ছেন।
বীজতলায় চারা উঠানোর কাজে নিয়োজিত উপজাতি নারী মমচিং বলেন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে কৃষিকাজ করেন। একে অপরের জমিতে কাজ করেন বিনাপারিশ্রমিকে।
আবার কোনো উপজেলা নারী কামলা হিসাবে কৃষিকাজে নিয়োজিত আছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, এবার কৃষকদের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে দিয়েছেন এলাকার সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। এ কারণে বোরো চাষে কৃষকরা তুলনামূলক আগেই চাষাবাদে নেমেছেন।
জানা যায়, রাউজানে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২০০ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ২০০ হেক্টর ও উফশী ৫০০ হেক্টর।
এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৫০ হেক্টর হাইব্রিড ও উফশী ৪০০ হেক্টর। তিনি আশা করছেন এবার ৪৪৫ হেক্টর পতিত জমি বোরো চাষের আওতায় আসবে।