হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

রোমাঞ্চ শেষে সিলেটের কাছে হারল বরিশাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিপিএলের নবম আসরের পয়েন্ট টেবিলের দুই শীর্ষ দল মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট স্ট্রাইকার্স ও সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। পয়েন্টে ব্যবধান না থাকলেও নেট রানরেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল বরিশাল। তবে গতকাল সাকিবরা জিততে জিততে হেরে যাওয়ায় ২ পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থান শক্ত করে নিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রোমাঞ্চকর ম্যাচটিতে ২ রানের জয় পেয়ে সাকিবদের টানা পাঁচ ম্যাচের জয়রথ থামিয়ে দিয়েছে মাশরাফিরা।
প্রথমে ব্যাট করতে নামা সিলেটের প্রথম ওভার শুরু হয় ভালোভাবে। বরিশালের খালেদ আহমেদের বলে ছক্কা-চার মেরে লড়াই শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন পাকিস্তানি খেলোয়াড় মোহাম্মদ ওয়াসিম। তার ওভারে পরপর তিনটি উইকেট হারায় সিলেট। প্রথমে বোল্ড হন জাকির হাসান। তারপর আসেন চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা তৌহিদ হৃদয়। তিনি তুলে দেন ক্যাচ। তারপর আসেন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তিনিও লেগ বিফোরে সাজঘরে ফেরেন। মাত্র ১৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট। তবে সেই অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধার করে নাজমুল। তার সঙ্গে দলকে উদ্ধারের চেষ্টা ভালোভাবেই করেছেন গতকাল বিপিএলের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা টম মুরস। তাদের জুটি থেকে ৭১ বলে ৮১ রান আসে। ৩০ বলে ৪০ রান করা মুরস সাকিবের বলে সাজঘরে ফিরে যান। সাকিবের শর্ট পিচের ডেলিভারিতে সামনে এসে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। তার ৪০ রানের ইনিংস গড়তে মেরেছিলেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। মুরসের সঙ্গে নাজমুলের ব্যাটে গতি না থাকলেও তার গতি বাড়ে থিসারা পেরেরা মাঠে নামার পর। থিসারা পেরেরার সঙ্গে তিনি ৩৪ বলে ৬৮ রানের জুটি গড়েন। তিনি ফিফটিতে পৌঁছান ৪৮ বলে। পরের ১৮ বলে তার ব্যাট থেকে ৩৭ রান আসে। তার এ অপরাজিত ইনিংসে তিনি মাত্র একটি ছয় মেরেছিলেন, বাউন্ডারি হাঁকিয়েছিলেন ১১টি। তার এ খেলার ধরন দেখেই বুঝা যায় দলকে এগিয়ে নিতে কোনোরকম ঝুঁকি নেননি তিনি। বিশ ওভার শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রানে।
১৭৪ রানের তাড়া নিয়ে মাঠে নামে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল। বড় ইনিংস খেলা বরিশালের কাছে এমন রানের তাড়া বড় কিছু না হলেও শেষ পর্যন্ত পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। ১৪তম ওভারে বল করতে আসেন রেজাউর রহমান। তার ওভারে ২৯ রানে দাঁড়িয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান সাকিব। তবে রেজাউরের দারুণ এক স্লোয়ারে ৩৭ বলে ৪২ রান করা ইব্রাহিম বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ বলে বোল্ড হন সাকিবও। ফুল লেংথ থেকে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে অতি আত্মবিশ্বাসী শট খেলতে গিয়ে আউট হন তিনি। শেষ ৩০ বলে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৬৩ রান। মাশরাফির এক ওভারে করিমের টানা তিন ছক্কায় মনে হচ্ছিল জয়ের পাল্লা বরিশালের দিকে ভারি হচ্ছে। তিন ছক্কার প্রথমটি মেরেছেন লেংথ থেকে মিড উইকেটে ঘুরিয়ে, পরের দুটি পেয়েছিলেন স্লটেই। মাশরাফির ওভার থেকে আসে ২১ রান। তবে মোহাম্মদ আমিরের করা ১৭তম ওভারে আসে মাত্র ১ রান। চাপে পড়ে ওই ওভারের শেষ বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১২ বলে ২১ রান করা করিম। শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ১৫ রান। ওয়াইড দিয়ে ওভার শুরু হলে বরিশালের প্রয়োজন হয় এক ওভারে ১৪ রান। তবে রেজাউরের প্রথম বৈধ বলে আউট হন ইফতিখার। পরের বলে উইকেটকিপার মুশফিকের সরাসরি থ্রোয়ে মিরাজ রানআউট হলে কাজটা শেষ বলে চার মারলে বল বাউন্ডারিতে পৌঁছানোর আগেই জয়োল্লাস শুরু করেন মাশরাফিরা।
ম্যাচ শেষে ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হন জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া সিলেট স্ট্রাইকার্সের নাজমুল হোসেন শান্ত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়