হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

পোস্ট অফিস কর্মী থেকে মাসুদ যেভাবে শীর্ষ জঙ্গি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দি অবস্থায় জঙ্গি সংগঠন জেএমবির শীর্ষনেতাদের সংস্পর্শে এসে উগ্রবাদে জড়িয়ে পড়েন মাসুকুর রহমান ওরফে রনবীর ওরফে মাসুদ। জামিনে মুক্তির পর জেএমবির সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াতে যোগ দেন। পরে তিনি সংগঠনটির শুরা সদস্য ও সামরিক শাখার প্রধান হন। ২০০৭ সালের আগে পোস্ট অফিসে কাজ করতেন তিনি। সে সময় তিনি বিভিন্ন স্থানে ডাকাতিও করতেন।
গত সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে গোলাগুলির পর ৪৪ বছর বয়সী রণবীরসহ ২ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র‌্যাব। গ্রেপ্তার অন্যজন হলেন- জঙ্গি সংগঠনটির ‘বোমা বিশেষজ্ঞ’ আবুল বাশার মৃধা ওরফে আলম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওই অভিযান নিয়ে কথা বলেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এদিকে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিসিসি) সূত্র দাবি করেছে, গত ৬ মাস আগে তারা নব্য জেএমবির সদস্য সন্দেহে চার তরুণকে আটক করে মনোবিজ্ঞানীর মাধ্যমে শুধরে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেন। কিন্তু চার মাস আগে এদের একজন পরিবারের অজান্তে ঘর ছাড়ে। সোমবার র‌্যাব যে দুজনকে আটক করেছে তাদের মধ্যে ওই তরুণও রয়েছেন। যার বাবা স্কুল শিক্ষক।
সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, ই¤েপ্রাভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস- আইইডিসহ বিভিন্ন ধরনের বোমা তৈরিতে দক্ষ ছিলেন রনবীর। ১ বছর আগে তিনি জঙ্গি সংগঠনটির সামরিক শাখার প্রধান হন। সংগঠনের আমীরের নির্দেশনায় কুমিল্লার পদুয়ার বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি শুরা কমিটির সভার আয়োজন করেন তিনি। এসব সভায় সংগঠনের সামরিক শাখার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সিদ্বান্ত গৃহীত হয়।
র‌্যাব কর্মকর্তারা জানান, সামরিক শাখার সদস্যদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ২০২১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে জামাআতুল আনসার ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরের সময় অন্যান্য শুরা সদস্যদের সঙ্গে রনবীরও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ২০২১ সালের নভেম্বরে সিলেট থেকে ৪ যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। এছাড়া বেশ কয়েকবার তিনি পার্বত্য এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং সামরিক শাখার সদস্যদের প্রশিক্ষণ তদারকি করেছেন।
র?্যাব জানায়, গ্রেপ্তার আবুল বাশার ২০১৬ বা ২০১৭ সালে জামাআতুল আনসারে যোগ দেয়ার আগে হরকাত-উল-জিহাদ-আল ইসলামী বাংলাদেশের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ২ বছরে কথিত হিজরতে যোগ দিতে বাড়ি ছেড়ে যাওয়া ৫০ জন যুবকের তালিকায় তিনি ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়