হাইকোর্টে বিএনপি নেতা খোকন ও মিলনের জামিন

আগের সংবাদ

ভোটের আগাম প্রচারে আ.লীগ : সভা-সমাবেশে উন্নয়ন তুলে ধরে নৌকায় ভোট চাওয়া হচ্ছে

পরের সংবাদ

চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন : আমদানিকারকরা চোর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা : সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের তিন শতাধিক আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী কয়লা চোর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন। মূলত শুল্ক স্টেশনে পরিবহন করার সময় কয়লা চুরির ঘটনা ঘটে। এই চুরি বন্ধের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বড়ছড়া ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনে কয়লা পরিবহন বন্ধের ডাক দেয়া হয়। বেলা ১১টায় গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার উপজেলার চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের বৈঠাখালী নদীতীরে আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, লোড, আনলোড শ্রমিক ও শ্রমিক সরদারদের নিয়ে কয়লা চুরি বন্ধে এক আলোচনা সভায় মিলিত হন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, গ্রুপের উপদেষ্টা ও তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি আবুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক অমল কান্তি কর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জিয়াউল হক, তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন, গ্রপের সহসভাপতি হাজী ফরিদ গাজী, কোষাধ্যক্ষ হাজি জাহের আলী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের, সচিব রাজেশ তালুকদার, আলাই সরদার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের একটি চিহ্নিত কয়লা চোর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে বছরে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে আমদানিকারক ও এখানে আসা ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, এ চক্রটি শুধু কয়লা চুরি করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা চোরাইকৃত কয়লা অন্য কাউকে কিনতে দেয় না। শুধু তারাই কিনতে পারবে চোরাইকৃত এসব কয়লা। চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনে চুরির কারণে দিন দিন আমদানি রপ্তানি কমে যাচ্ছে। কারণ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের চোখের সামনেই এক শ্রেণির গরিব অসহায় শ্রমিকদের দিয়ে এ সিন্ডিকেট কয়লা চুরি করালেও কেউ এর প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। এ সময় অনেক ব্যবসায়ী কয়লা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সভা শেষে বৈঠাখালী থেকে ফেরার পথে আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হাজি আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, বিশিষ্ট আমদানিকারক জিয়াউল হকের সহযোগিতায় চুরি করে বিভিন্ন জায়গায় স্তূপ করে রাখা ১০ লাখ টাকা মূল্যের ৪ মেট্রিক টন চোরাই কয়লা জব্দ করা হয়।
এ সময় কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের উপদেষ্টা হাজী আবুল হোসেন খান, সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আজকের পর থেকে কোনো কয়লা চুরির ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার বহন করবে কয়লা পরিবহনের সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, সরদাররা। যেখানে যার দখলেই চোরাই কয়লা পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়