প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : ফরাসি কাপের রাউন্ড অব ৩২-এর ম্যাচে গত সোমবার রাতে পেইস দে কাসেলের বিপক্ষে মাঠে নামে পিএসজি। ফরাসি লিগের ষষ্ঠ স্তরে খেলা ক্লাবটির বিপক্ষে লিওনেল মেসিকে মাঠে না নামালেও অন্য তারকা ফুটবলারসহ প্রায় পুরো শক্তির দলকে মাঠে নামিয়েছে পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের। মাঠে নেমে নিজেদের দাপট দেখিয়ে ৭-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করেছে নেইমার-এমবাপ্পেরা।
ম্যাচটিতে পেইস দে কাসেলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নেমেছে ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার অধীনে হওয়া প্রথম ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার মতো করেই খেলেছেন তিনি। পিএসজির ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে তিনি এক ম্যাচে ৫টি গোল করেছেন। শুরু থেকেই এমবাপ্পেদের কাছে পাত্তা পায়নি কাসেল। শুরু থেকেই আক্রমণের শিকার হয়ে চাপের মধ্যে ছিল তারা। ম্যাচের ২৯ মিনিট গড়াতেই নুনো মেন্ডেজের ক্রস থেকে বল পান ফরাসি তারকা। বল পেয়ে খুব সহজেই করেছেন লক্ষ্যভেদ। এমন দলের বিপক্ষে যেন তার কাছে গোল করা কোনো ব্যাপারই না। প্রথম গোল হজমের মাত্র ৪ মিনিট পরই আরেকটি গোল হজম করতে হয়ে কাসেলকে। ৩৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান পোস্টারবয় নেইমার জুনিয়র দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হওয়া কাসেল কোনো আক্রমণে যাওয়ার সুযোগই পায়নি। বরং নিজেদের রক্ষণভাগ সামলাতেই তাদের অবস্থান এলোমেলো হয়ে পড়ে। একটি গোল করেই বসে থাকেননি ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপ্পে। নেইমারের গোলের দুই মিনিট পর আবার তিনি জালের দেখা পান। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে ৪০তম মিনিটে আরেকটি গোল করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন তিনি। মাত্র ১১ মিনিটের ব্যবধানে তার পা থেকে তিনটি গোল যোগ হয় পিএসজির স্কোরবোর্ডে। তার এ গোলের মধ্য দিয়ে প্রথমার্ধ শেষে ৪-০ গোলে লিডে থাকে পিএসজি।
বিরতির পর মাঠে নেমে আবারো প্রথমার্ধের মতোই দাপট দেখায় তারা। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে নিজের চতুর্থ ও দলের পঞ্চম গোলটি করেন এমবাপ্পে। কার্লোস সোলেরের গোল যোগ হয় এর চার মিনিট পর। ম্যাচের সর্বশেষ ও এমবাপ্পের পঞ্চম গোলটি আসে ৭৯তম মিনিটে। এই নিয়ে টানা দুই মাসে দুই হ্যাটট্রিক করেছেন এমবাপ্পে। এর আগে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হ্যাটট্রিক করে তিনি গোল্ডেন বুট পেয়েছিলেন। এ ম্যাচের গোলগুলো করে তিনি আরেকটি রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন। পিএসজির হয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোল করেছেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড এদিনসন কাভানি। ক্লাবটির হয়ে তার গোলের সংখ্যা ২০০টি। এমবাপ্পে কাসেলের বিপক্ষের ম্যাচে পাঁচ গোল করে পৌঁছে গেছেন ১৯৬ গোলে। আর মাত্র চারটি গোল করলেই তিনি কাভানিকে ধরতে পারবেন এবং পাঁচটি গোল করলে কাভানির রেকর্ড ভেঙে পিএসজির হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়বেন।
পেইস দে কাসেলের পথচলা শুরু হয় ২০১৮ সালে। রাউন্ড অব ৬৪-এ ওয়াসকুয়েহালকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে ফরাসি জায়ান্ট পিএসজির মুখোমুখি হয়েছিল। তাদের বড় কোনো মাঠ না থাকায় ম্যাচটি আয়োজন করা হয় লিগ ওয়ানের বোলায়ের্ট দেলেলিস স্টেডিয়ামে।
একই রাতের আরেকটি ম্যাচে ক্র্যাভেন কটেজে ফুলহ্যামের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল টটেনহ্যাম। হ্যারি কেনের একমাত্র গোলে ফুলহ্যামকে পরাজিত করে তারা। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণ খুব বেশি না হলেও কম হয়নি। জয়সূচক গোলের দেখা পেতে টটেনহ্যামকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন। তার এ গোলে টটেনহ্যাম লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে। বিরতির পর মাঠে নেমে ফুলহ্যাম হজম করা গোলের শোধ নিতে পারেনি। অন্যদিকে রক্ষণভাগ সামলে আরো কিছু আক্রমণ করতে পারলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি কেনরা। ফলে ১-০ গোলে জয়লাভ করে টটেনহ্যাম।
হ্যারি কেনের এই গোলের মধ্য দিয়ে তিনি এখন টটেনহ্যামের হয়ে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলের মালিক। ক্লাবটির হয়ে এখন তার গোলের সংখ্যা ২৬৬। গোলগুলো করতে তিনি মোট ৪১৫টি ম্যাচ খেলেছেন। এর আগে ৩৭৯ ম্যাচে সমান সংখ্যক গোল করে টটেনহ্যামের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক ছিলেন ইংল্যান্ডের ১৯৬৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য জিমি গ্রেভস। চলতি আসরে ২১ ম্যাচ খেলে ১৬টি গোল করেছেন কেন। এফ এ কাপে ২৯ জানুয়ারি প্রিস্টনের বিপক্ষে ম্যাচ আছে তাদের। সেই ম্যাচে একটি গোল করতে পারলেই জিমিকে ছাড়িয়ে ক্লাবটির হয়ে সর্বোচ্চ গোলের মালিক হবেন তিনি।
জয় পেয়েও ইপিএলের টেবিলে সেরা চারে নেই টটেনহ্যাম। ২১ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পঞ্চম স্থানে। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অন্যদিকে ২১ ম্যাচ খেলে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ফুলহ্যামের অবস্থান সপ্তম স্থানে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।