প্রধান শিক্ষককে পিটুনি : আ.লীগ নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি

আগের সংবাদ

ভোক্তা অধিদপ্তরের মতবিনিময় সভা : আমদানি স্বাভাবিক না থাকলে বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে

পরের সংবাদ

অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও পানি সেচের ড্রেন নির্মাণ : তদারকির অভাবে ঈশ্বরগঞ্জে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ অবকাঠামো

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ঈশ্বরগঞ্জে তদারকি না থাকায় অপরিকল্পিত পুকুর খনন ও বোরো মৌসুমে পানি সেচের ড্রেন নির্মাণের কারণে প্রতি বছরে বরাদ্ধকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের কোটি কোটি টাকার পাকা এবং কাঁচা রাস্তা বিনষ্ট হচ্ছে।
জানা যায়, প্রতি বছর উপজেলায় টিআর, কাবিখা, এলজিএসপি ও কর্মসৃজন কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাটামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্ধ পাওয়া যায়। বরাদ্ধকৃত টাকা প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকায় গ্রামীণ অবকাটামো রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় করা হয়। এছাড়াও এলজিইডির মাধ্যমে প্রতি বছরেই নতুন রাস্তা পাকাকরণ ও মেরামতের জন্য আরো প্রায় ৫-৭ কোটি টাকার কাজ হয়।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট কাঁচা রাস্তা ৩২১ কিলোমিটার, পাকা রাস্তা ২২৫ কিলোমিটার। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মোট ২ হাজার ১৮৯ হেক্টর জলাশয়ে মাছ চাষাবাদ হয় এর মধ্যে ১ হাজার ৯১৬ হেক্টর পুকুর। পুকুরগুলোতে উৎপাদিত মাছ সহজে বাজারজাত করতে গ্রামীণ রাস্তাগুলো ব্যবহার হয়ে থাকে।
সরজমিন উপজেলা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ পুকুর রাস্তার পাশে খনন করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী পুকুর খননের সময় রাস্তা থেকে কমপক্ষে ১০ মিটার দূরত্ব রাখার কথা কিন্তু রাস্তাকেই পুকুরের পার হিসেবে রেখে অধিকাংশ পুকুর খনন করা হয়। অনেক এলাকায় পুকুরে বাইরের পানি আটকাতে রাস্তার ডালো আটকে দেয়। ফলে বর্ষা মৌসুমে রাস্তা উপর পানি জমে নষ্ট হয়।
উপজেলা বড়হিত ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমে গভীর ও অগভীর নলকূপেরে পানি সেচের জন্য কাঁচা রাস্তার এক পাশে ড্রেন কাটা হয়েছে। ওই ড্রেনে পানি সেচের সময় অনেক রাস্তা ভেঙে লোকজনের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
বড়হিত ইউপির কেশবপুর এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালাম জানান, রাস্তাগুলোতে কয়েকদিন পূর্বে কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ করা হয়েছে। রাস্তার উপর ড্রেন ব্যবহার করার কারণে ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে যাবে।
উপজেলা সরিষা ইউপি চেয়ারম্যান একরাম হোসেন ভূঁইয়া জানান, রাস্তার দুপাশে পুকুর খননের কারণে এলাকার অধিকাংশ রাস্তা বর্ষকালে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরে। গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে অতিরিক্ত ওজনের মাটি ও বালু নিয়ে মালবাহী ট্রাক চলাচলেও রাস্তাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের মাসিক সভায় উপস্থাপন করা হলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না, ফলে প্রতি বছরই সরকারের কোটি কোটি টাকার অপচয় হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে প্রথমে স্থানীয় লোকজন ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের এগিয়ে আসতে হবে। এতেও যদি সমাধান না হয় তাহলে নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারেন।
ইউএনও হাফিজা জেসমিন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পিআইওর সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়