মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

হাওরে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জে ২০১৭ সালে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ৫ বছর আগে করা মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে ২০১৭ সালের ৩ আগস্ট মামলাটি করেছিলেন সমিতির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক। গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ জাকিয়া সুলতানা মামলাটি পুনরায় তদন্তের আদেশ দেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই মামলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ কর্মকর্তা, ফসলরক্ষা বাঁধের ৪৬ জন ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) ৭৮ জন সদস্যসহ ১৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
তৎকালীন সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদকে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। পরে মামলার বাদী ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজির আবেদন দেন। ওই আবেদনের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদালত বাদীর নারাজি আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী আবদুল হক বলেন, ‘আদালত আমার নারাজির পিটিশনটি গ্রহণ করেছেন এবং মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন।’
গত শুক্রবার সকালে দুদকের সুনামগঞ্জের আইনজীবী আইনুল ইসলাম আদালতের আদেশের বিষয়টি ভোরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের এপ্রিলে সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টিতে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে যায় জেলার ছোট বড় ১৫৪টি হাওরের বোরো ফসল। এ ঘটনার পর ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। এরপর ১৩ এপ্রিল দুদক হাওরের ফসলহানি ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে দুদকের তৎকালীন পরিচালক বেলাল হোসেনকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ১৫ এপ্রিল পাউবোর সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফছার উদ্দিনকে সুনামগঞ্জ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ২ মে এ ঘটনায় পাউবোর তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পূর্বাঞ্চল) মো. আবদুল হাই, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও পাউবো সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আফছার উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
ফসলহানির ঘটনায় ওই বছরের ৩০ মে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুদকের অনুসন্ধান শেষে ২ জুলাই দুদকের সহকারী পরিচালক ফারুক আহমদ বাদী হয়ে পাউবো কর্মকর্তা, ঠিকাদারসহ ৬১ জনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় পাউবোর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি, ঠিকাদারদের সঙ্গে অবৈধ যোগসাজশের অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সময়মতো কাজ শেষ না করে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়