এসকে হাসান, আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সাতক্ষীরা পওর বিভাগ-২ এর আওতায় পারকাদাকাটি, পুটিমারী ও শাহাপুর খাল পুনর্খনন কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
জানা গেছে, আশাশুনি, সাতক্ষীরা সদর ও তালা উপজেলার পারকাদাকাটি খাল, পুটিমারী খাল ও শাহাপুরের মোট ১১.৮২৫ কিলোমিটার খাল পুনর্খননের জন্য ২ কোটি ৫১ লাখ ৬ হাজার ৪৬১ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। চুক্তিতে খাল পুনর্খননের কাজটি করছেন কুষ্টিয়ার ন্যাচারাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। শাহাপুর গ্রামে কাজের শুরুতেই শিডিউল মোতাবেক কাজ না করা, রেকর্ডকৃত ফসলি জমি ও ভিটেবাড়ির জমিতে মাটি ফেলে জমি নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ উঠছে। জমির মালিকসহ এলাকার মানুষ অনিয়ম না করে সঠিকভাবে কাজ করার দাবিতে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
স্থানীয় দিছার উদ্দিন মোড়ল বলেন, ‘খালের সীমানা ঠিক করে খনন কাজ করার কথা বলেছি, কিন্তু তারা শুনছে না। কাজের ম্যাপ ও কাগজপত্র দেখতে চাইলেও দেখাচ্ছে না। খালের শুরু শাহাপুর প্রাইমারি স্কুলের কাছ থেকে হলেও প্রায় ১০০০ হাত বাদ রেখে মাহবুবুরের বাড়ির কাছ থেকে খনন কাজ শুরু করা হয়েছে।’
স্থানীয় হাসিব খান জানান, প্রথমে জমির যে পরিমাপ করা হয়েছিল, সেখানে স্কুলের কাছ থেকে গোরালী ব্রিজ পর্যন্ত কাজ করার কথা শুনেছি। কিন্তু পরবর্তীতে স্কুল থেকে খনন না করে মাহবুবরের বাড়ির কাছ থেকে খনন করা হচ্ছে। খালের এক পাশে বাদ রেখে অন্য পাড়ে রেকর্ডীয় জমিতে মাটি ফেলে বাঁধ/রাস্তা করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নিয়ম অমান্য করে আজিজুর রহমান খান, ইসমাইল খান, গফুর খান, মাহবুবর রহমান ও কোমর উদ্দিনের বসত বাড়ি, ফসলি জমির উপর মাটি ফেলা হয়েছে। ফলে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি খাস জমি দখল নিয়ে বসত ঘর নির্মাণকারীরা লাভবান হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শামছুল হুদা লাল্টু জানান, প্রথমে নির্দিষ্ট স্থানে খনন কাজ শুরু করা হলেও দুটি ঘর বাঁচাতে গিয়ে তা বাদ রেখে খনন কাজ করা হয়েছে। খননের ফলে কোমর উদ্দিনের রেকর্ডীয় জমিতে ধস লাগায় তার অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা হয়েছে। এছাড়া কিছু স্থানে রেকর্ডীয় জমিতে মাটি ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাউবোর শাখা কর্মকর্তা (এসও) মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘মানবিক কারণে সামান্য ছাড় দেয়া হতে পারে, কিন্তু কারো রেকর্ডীয় জমিতে খাল খনন বা মাটি ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত করা হবে না। আমি এলাকায় গিয়ে বিষয়টি দেখে নিয়মমতো খনন কাজ করার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’