মাছরাঙা টেলিভিশনের সংবাদ উপস্থাপিকা ডা. নাতাশার মৃত্যু

আগের সংবাদ

৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বিশ্বব্যাংক এমডি : বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সর্ম্পক নতুন মাইলফলকে

পরের সংবাদ

ইবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন মানববন্ধন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ইবি প্রতিনিধি : নির্দিষ্ট শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দের দাবিতে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশাসন ভবনের সামনে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। একই সঙ্গে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। পরে এই দাবিতে বেলা ১২টার দিকে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসংবলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে কক্ষ বরাদ্দ ছাড়াও বিভিন্নভাবে হুমকির অভিযোগ তুলে তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনটির চতুর্থতলার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ওই তলার অর্ধেক তাদের বিভাগের জন্য বরাদ্দের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন প্রশাসন।
তবে তা সম্পন্নের পর একটি অংশে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অফিস করা হবে বলে জানতে পারেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানার পর গত মঙ্গলবার চতুর্থ তলার দুই পাশে (উত্তর ও পূর্ব) আসবাবপত্র স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে বুধবার থেকে শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সেখানে অবস্থান করেন। চতুর্থ তলায় অবস্থানকালে শিক্ষার্থীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিভিন্ন হুমকি-ধমকির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন। এছাড়া তারা ‘প্রাণনাশের হুমকি’র অভিযোগ তুলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, অন্তত ১০ দিন আগে চতুর্থ তলার অন্য দুই পাশে সদ্য চালু হওয়া একটি বিভাগে আসবাবপত্র ঢুকিয়েছে। পরে আমাদের বিভাগীয় শিক্ষকদের জানালে তারা সদুত্তর দিতে পারেননি। ওই বিভাগের ফার্নিচার ঢুকে গেল অথচ পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত একটি বিভাগ কোথাও ঠাঁই পেল না। তাই আমরা বিভাগীয় শিক্ষকদের নির্দেশ অমান্য করে একপ্রকার বাধ্য হয়েই আসবাবপত্রসহ চতুর্থ তলায় উঠে যাই।
বিভাগটির সভাপতি সাহিদা আখতার (আশা) বলেন, প্রতিষ্ঠার পর পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও একটি পূর্ণাঙ্গ বিভাগে যা যা লাগে তার কিছুই আমাদের নেই। একটি কক্ষও আমাদের জন্য বরাদ্দ ছিল না। শিক্ষর্থীরা দীর্ঘদিন ধরে কষ্ট করে ক্লাস-পরীক্ষা দিয়ে আসছে। এখন তারা আমাদের কোনো কথাই আর শুনছে না। আমরা তাদের বুঝিয়ে ক্লাস-পরীক্ষায় ফেরানোর চেষ্টা করছি। প্রশাসনকে আমরা বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব ও ন্যায্য সিদ্ধান্ত নেবেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান বলেন, ভবনটির চতুর্থ তলার কাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলে ঠিকাদাররা আমাদের ভবন বুঝিয়ে দেবেন। তারপর আমরা বরাদ্দের বিষয়ে আগাবো। সেখানে কারোরই কোনো বরাদ্দ নেই।
হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকবে এটা হতে পারে না। যদি কেউ এ রকম হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে গুরুতর অপরাধ করেছে। ভিসি স্যার ক্যাম্পাসের বাইরে আছেন, তিনি ফিরলে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়