আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

মো. আলমগীর : ইভিএমে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি ইসি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখনো আশা ছাড়েনি বলে জানিয়েছেন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ইসি আলমগীর বলেন, আমরা বলেছিলাম সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করবো। কিন্তু ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে এটা সঠিক বলা যাবে না কতটা আসনে এর ব্যবহার করা যাবে। কারণ কতটা ট্রেনিং দিয়ে প্রস্তুত করতে পারব সেটা অনিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, ইভিএম কেনার বিষয় আছে। সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন- সব কিছু মিলিয়েই আমরা বলেছি, জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শ আসনে করা সম্ভব নয়। এখনো আমরা সেই অবস্থানেই আছি। কারণ এটা তো একটা ব্যাপক কাজ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করার জন্য অনেক সময় লাগবে। সাবেক এ ইসি সচিব বলেন, প্রজেক্ট এখনো অনুমোদন পায়নি। তবে লেটেস্ট কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে আমরা কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারি। যদিও এজেন্ডাভুক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।
মো. আলমগীর বলেন, প্রজেক্টের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধিশাখার কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনতে হবে। তারপর বলা যাবে, কতদিনের মধ্যে কতটা পেলে কত আসনে ভোট করতে পারব ইভিএমে। তিনি বলেন, দুই লাখ না হয়ে আরো কম হতে পারে। হয়তো এক লাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন থেকে এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেন নাই তারা। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলেননি, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারব। টাকার অভাবে বন্ধ ৬ আসনে সিসি ক্যামেরা : ৬ সংসদীয় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহারের জন্য টাকা নেই জানিয়ে এ কমিশনার বলেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি যে ৫-৬টা উপনির্বাচন হবে সেখানে সিসি ক্যামেরা দেয়ার টাকা তো আমাদের কাছে নেই। সিসি ক্যামেরার জন্য আমাদের কোনো বাজেট ছিল না। এক্সিসটিং টাকা থেকে করেছি। এখন তো টাকা নেই।

তিনি বলেন, অর্থটা তো বার্ষিক ভিত্তিতে দেয়া হয়। বর্তমান অর্থবছরে যে টাকা দেয়া আছে, যেসব নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি সেগুলোর ব্যয় কিন্তু এক্সিসটিং টাকার মধ্যেই। সরকারের কাছে আমরা অতিরিক্ত বাজেট চাইনি। এই আর্থিক মন্দার মধ্যে আমাদের চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন হবে তখন তো পরবর্তী অর্থবছরের বাজেট থেকে ব্যয় হবে। তখন কী লাগবে না লাগবে সেটা ধরে আমরা বাজেট করব। তখন বাজেট দিলে, সেটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। ওটার সঙ্গে এই বিষয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।
মো. আলমগীর বলেন, সিসি ক্যামেরা তো কেবল বললেই হবে না। অর্থের ব্যাপার যেমন আছে ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারও আছে। চার লাখ সিসি ক্যামেরা মনিটর করবেন কীভাবে! সেটার একটা ওয়েআউট যদি বের করা যায় তাহলে অবশ্যই আমরা ব্যবহার করব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়