আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

মালয়েশিয়ার বন্দরে কনটেইনার থেকে উদ্ধার : সেই কিশোরের পরিচয় মেলেনি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়া যাওয়া জাহাজের একটি খালি কনটেইনার থেকে এক বাংলাদেশি কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত থাকলেও ওই কিশোরকে অস্স্থু অবস্থায় উদ্ধার করার পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় ওই কিশোরের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রাতে মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী এমভি ইন্টিগ্রা জাহাজ থেকে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দর কর্তৃপক্ষ কিশোরকে উদ্ধার করে। বুধবার রাতে বন্দরসংশ্লিষ্টরা তা জানতে পারেন। ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর লুকিয়ে ক্লাং বন্দরে পৌঁছায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে খালি কনটেইনারের ভেতর লুকিয়ে মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরে পৌঁছায়। পরে তার চিৎকার শুনে জরুরিভিত্তিতে জাহাজটি জেটিতে ভেড়ানোর পর কনটেইনার থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টার দিকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যে জাহাজের কনটেইনারে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে সেটি হলো হংকংভিত্তিক ‘এমভি ইন্টিগ্রা’। জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি চট্টগ্রামের কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেড। ওই কিশোরের আনুমানিক বয়স ১৫ বছর। সে বাংলাদেশি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১৩৩৭ টিইইউএস কনটেইনার নিয়ে ইন্টিগ্রেটররা জাহাজটি কনটেইনারভর্তি করে ১২ জানুয়ারি যাত্রা শুরু করে ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার ক্লাং বন্দরের সাগরে পৌঁছে। এরই মধ্যে জাহাজটির একটি খালি কনটেইনারের ভেতর থেকে জাহাজের নাবিকেরা চিৎকার শুনতে পান। পরে জরুরিভিত্তিতে জাহাজ ক্লাং বন্দরে ভিড়িয়ে কনটেইনার থেকে কিশোরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
কন্টিনেন্টাল ট্রেডার্স বিডি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক এস এম ফয়সাল আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে খালি কনটেইনারে করেই কিশোরটি ক্লাং বন্দরে পৌঁছে। কিন্তু সেই খালি কনটেইনারে ডিপো থেকে উঠল নাকি বাইরে থেকে এসেছে আমরা এখনো তা জানি না। তবে সে (কিশোর) বাংলায় অস্পষ্টভাবে কথা বলছিল। তিনি আরো বলেন, ‘জাহাজের ক্যাপ্টেন বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে মালয়েশিয়ার পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ নিশ্চিত হয়েই খালি কনটেইনারটি শনাক্ত করে। পরে জাহাজ জেটিতে ভিড়িয়ে কনটেইনার খুলে কিশোরকে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। সে জীবিত আছে।’
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কনটেইনার বা জাহাজে লুকিয়ে বিদেশ যাওয়ার ঘটনা এর আগে বেশ কয়েকবার ঘটেছে। এর মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতজন জীবিত ফিরতে সক্ষম হয়েছেন। দুজনকে চট্টগ্রাম বন্দর ফটক ও জাহাজ থেকেই আটক করে নামিয়ে আনা হয়। একের পর এক লুকিয়ে বিদেশ পাড়ির ঘটনায় মেরিটাইম ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মনে করছেন শিপিংসংশ্লিষ্টরা। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে কঠোর নজরদারি ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ মো. আরিফ বলেন, খালি কনটেইনার ডিপো থেকে বন্দরে আসার সময় চেক করার জন্য একটি দরজা খোলা রাখা হয়। এরপর বন্দরের তত্ত্বাবধানে থাকে এবং জাহাজে লোড করা হয়। এ সময় যাতে কেউ কনটেইনারে ঢুকতে না পারে তার জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়