আইনমন্ত্রী : মানবাধিকারের উন্নতি হওয়ায় র‌্যাব নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়েনি

আগের সংবাদ

পাহাড়ে সন্ত্রাসী-জঙ্গি একাকার : স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর যোগসাজস, দুর্গম হওয়ায় অভিযান চালানো কঠিন

পরের সংবাদ

আফগানিস্তানে হুমকিতে আন্তর্জাতিক ত্রাণ কার্যক্রম : তালেবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ জাতিসংঘ নারী কর্মকর্তাদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের শাসনব্যবস্থায় মাধ্যমিক স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীরা নিষিদ্ধ। ত্রাণ সংস্থাসহ অনেক কর্মস্থলেও নিষিদ্ধ তারা। এমন অবস্থায় আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক ত্রাণ কার্যক্রম হুমকির মধ্যে আছে। প্রচণ্ড শীত আর দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা দেশটির জন্য এখন মানবিক সহায়তা খুব জরুরি। এমন অবস্থায় জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধিদল গত বুধবার কাবুল সফর করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তান সফর করা জাতিসংঘের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিদল এটি। শুধু তাই নয়, দলটিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন এক নারী, যিনি অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তার উপমহাসচিব আমিনা মোহাম্মদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলকে আফগানিস্তানে পাঠান। ওই প্রতিনিধিদলে জাতিসংঘের আরো এক নারী কর্মকর্তাও আছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের নারীর ক্ষমতায়নবিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন উইমেন’ এর প্রধান সীমা বাহাউস।
নারী ত্রাণকর্মীদের ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা প্রত্যাহার করা নিয়ে জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেয়া হয় এই প্রতিনিধিদলকে। নারী ত্রাণকর্মীদের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞাকে জরুরি মানবিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলাউয়ি আমির খান মুত্তাকি আফগানিস্তানের কাবুলে জাতিসংঘের ওই প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাওলাউয়ি আমির খান মুত্তাকির মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিনিধিদলটি বিশ্বের কাছে আফগানিস্তানের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরবে, এমন আশায় বৈঠক শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তালেবান শাসনের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকা এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা কার্যকরভাবে কাজ করতে পারছে না।
আফগানিস্তানে তাপমাত্রা মাইনাস ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। পার্বত্য এলাকাগুলোয় তাপমাত্রা আরো কম। নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকে না। এমন অবস্থায় ত্রাণ সংস্থায় নারীদের কাজ করা নিষিদ্ধ করায় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সহায়তা সংস্থা কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছাড়া আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। ইতোমধ্যে কিছু কিছু সংস্থা তাদের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত করেছে।
স্বাস্থ্য খাতে নারী চিকিৎসক ও সেবিকাদের উপস্থিতি জরুরি। তালেবান সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এখন বলছে, নারীরা স্বাস্থ্য খাতে কাজ করতে পারবেন। এতে অবশ্য স্বাস্থ্যবিষয়ক কিছু কর্মসূচি আবারো চালু করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগান জনগণ যখন ভাবছে, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের বড় অংশ তাদের ভুলে গেছে, তখন জাতিসংঘের প্রতিনিধিদলের সফরটি তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়