পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

হালনাগাদ খসড়া তালিকা : ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বর্তমানে দেশে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮। এর আগে দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন। পাশাপাশি এবারের হালনাগাদে মৃত্যুজনিতসহ অন্যান্য কারণে কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। সব মিলিয়ে নতুন ভোটার বাড়ছে ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন। সব মিলিয়ে ১১ কোটি ৯০ লাখ ভোটার রয়েছে ২০২৩ সালে। গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। মৃত ভোটার কর্তনের পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৩৭ জন।
গত বছরের ২০ মে থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। হালনাগাদের খসড়া তালিকা পূর্বঘোষিত সময় অনুযায়ী গতকাল প্রকাশ করা হয়। এটি বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেয়া হয়েছে, যেন কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পান। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের জন্য সময় থাকছে ১৬ দিন। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।
সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলমান হালনাগাদ কার্যক্রমের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৬৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, যা আগেরবারের চেয়ে ২৬ কোটি টাকা বেশি।
মধ্য ফেব্রুয়ারিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : সময়মত রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। ইসি সচিবালয় ও সংসদ সচিবালয়ের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্পিকারের সঙ্গে বৈঠক করে তফসিলের সিদ্ধান্ত নেবেন। গতকাল রবিবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর তার পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল কার্যভার গ্রহণ করেন। সেই মোতাবেক তার দায়িত্বের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ এপ্রিল।
এদিকে রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে পদটি শূন্য হলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিধান রয়েছে। সংবিধানের এ বিধানের আলোকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হবে আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাস আগে এবং তারপর একমাসের মধ্যেই তফসিল ঘোষণাসহ নির্বাচনের অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এছাড়া সময় গণনা শুরু না হলে তফসিলও ঘোষণা করা যাবে না। তাই সময় গণনা শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে। এক্ষেত্রে ভোট হবে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে।
২০১৮ সালে সর্বশেষ এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ছিল ৭ ফেব্রুয়ারি। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় ছিল ১০ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের দিনক্ষণ রাখা হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। সে সময় ২২ দিনের মধ্যে পুরো কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। তবে সে বার বর্তমান রাষ্ট্রপতি একক প্রার্থী থাকায় বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন আবদুল হামিদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়