পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

হারের বৃত্তে কুমিল্লা শীর্ষে সিলেট : ব্যাট-বলে সেরা তৌহিদ ও রবিউল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আজ দিনের প্রথম ম্যাচে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম চার ম্যাচ জেতা সিলেটের লক্ষ্য জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। অপরদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মাঠে নামবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কুমিল্লার লক্ষ্য হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়া।
বিপিএলের শুরুতে ঢাকার প্রথম পর্বেই চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে সিলেট। প্রথম ম্যাচে তারা হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৮ উইকেটে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে হারায় ৬ উইকেটে। তৃতীয় ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারায় ৫ উইকেটে এবং চতুর্থ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সকে হারায় ৬২ রানে। এবার পঞ্চম জয়ের লক্ষ্যে আবারো ঢাকার মুখোমুখি তারা। চার ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই দুর্দান্ত পারফরমেন্স করে সিলেটের ক্রিকেটাররা। অধিনায়কের নেতৃত্বে থাকা মাশরাফি বিন মর্তুজা ব্যাট ও বল হাতে দলকে এগিয়ে দিচ্ছেন। চার ম্যাচের তিনটিতে হাফসেঞ্চুরি করা সিলেটের ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় শেষ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ার কারণে তাকে ছাড়াই চট্টগ্রাম পর্ব শুরু করতে হবে সিলেটকে। আঙুলে ৮টি সেলাই পড়ায় দুই সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন তিনি। চট্টগ্রাম পর্বে মাঠেই নামতে পারবেন না সিলেটের হৃদয়। অন্যদিকে জয় দিয়ে আসর শুরু করলেও শেষ দুই ম্যাচে হেরে যায় নাসিরের ঢাকা। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় দিয়ে আসর শুরু করে ঢাকা। এরপর সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৬২ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৮ উইকেটে হারে তারা।
এছাড়া দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের মুখোমুখি হওয়া কুমিল্লা হট ফেভারিট হিসেবেই আসর শুরু করলেও তিন ম্যাচ খেলে এখনো জয়ের মুখ দেখেনি। ঢাকা পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে ৩৪ রানে ও দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে হারে কুমিল্লা। চট্টগ্রামের মাটিতে সাফল্যের স্বাদ নিতে মরিয়া ছিল তারা। কিন্তু এখানেও ভাগ্য বদলায়নি কুমিল্লার। সাকিব আল হাসানের দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ফরচুন বরিশালের কাছে ১২ রানে ম্যাচে হারে তারা।
এখন চট্টগ্রামের বিপক্ষে হারের বৃত্ত থেকে বের হওয়াই লক্ষ্য তাদের। অপরদিকে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে মরিয়া চট্টগ্রাম। সিলেট স্ট্রাইকার্সের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এবারের আসর শুরু করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ম্যাচেই খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয়। ঢাকা প্রথম পর্বে দুই ম্যাচে ১টি করে জয়-হার নিয়ে নিজেদের মাঠে খেলতে নামে চট্টগ্রাম। বন্দর নগরীতে প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের কাছে ২৬ রানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। তবে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আফিফ হোসেন ও আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলির তাণ্ডবে ঢাকা ডমিনেটর্সকে ৮ উইকেটে হারায় চট্টগ্রাম। কুমিল্লাকে হারিয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিতে মরিয়া তারা।
এখন পর্যন্ত বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪ ম্যাচে চার জয়ে তাদের পয়েন্ট ৮। টেবিলের দুইয়ে রয়েছে সাকিবের ফরচুন বরিশাল। ৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক হারে তাদের পয়েন্ট ৬।
তিনে রয়েছে রংপুর রাইডার্স, চারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, পাঁচে ঢাকা ডমিনেটর্স, ছয়ে খুলনা এবং সাত নাম্বারে রয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। অপরদিকে বিপিএলের এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার প্রথমে রয়েছেন সিলেটের তৌহিদ হৃদয়। তারা সংগ্রহ চার ম্যাচে ১৯৫ রান। তালিকার দুইয়ে থাকা নাজমুল হাসান শান্তর সংগ্রহ ৪ ম্যাচে ১৬৭ রান। তালিকার তিনে থাকা উসমান খানের সংগ্রহ ১৬৩ রান। চারে থাকা আজম খানের সংগ্রহ ১৬১ রান এবং পাঁচে থাকা সাকিব আল হাসানের সংগ্রহ ১৫৬ রান। এছাড়া বোলিংয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন রংপুরের রবিউল হক। ৩ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৭টি। দুইয়ে আছে ঢাকার আল আমিন হোসাইন। তার উইকেট সংখ্যাও ৭টি। তিনে থাকা মাশরাফির উইকেট সংখ্যা ৭টি। চারে থাকা মোহাম্মদ আমিরের উইকেট সংখ্যা ৬টি এবং পাঁচে থাকা রেজাউর রহমান রাজার উইকেট সংখ্যা ৬টি।
বিপিএল নিয়ে শুরু থেকেই একের পর এক বিতর্ক সামনে আসছে। তবে এসব বিতর্কের পরেও টুর্নামেন্টটিতে বিদেশি খেলোয়াড়দের সতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে বিপিএলের এ আসরে ভিড় দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের। পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, আবরার আহমেদ, মোহাম্মদ নেওয়াজ ছাড়াও আছেন আরো অনেক তারকা। বিপিএলের শুরু থেকে অব্যবস্থাপনার অবিযোগ এনেছিলেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ডিআরএস না থাকায় রিভিউ সিস্টেম নিয়েও হয় নানা বিতর্ক। গত ম্যাচে জাকির আলির আউট নিয়েও বিতর্ক দেখা দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়