পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

হাতছাড়া হচ্ছে পিএসজির হোম গ্রাউন্ড!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ফরাসি জায়ান্ট ক্লাব পিএসজির হোম গ্রাউন্ড পার্ক দে প্রিন্সেস। ক্লাবটি ১৯৭০ সালে তৈরি হওয়ার পর ১৯৭৪ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছে ১৮৯৭ সালে নির্মিত এ মাঠটি। তবে প্যারিসের নগরকর্তার সঙ্গে দ্ব›েদ্বর কারণে এ মাঠ এবার পিএসজির হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
পিএসজি সৃষ্টির চার বছর পর থেকেই পার্ক দে প্রিন্সেস মাঠটি হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করলেও এর মূল মালিকানা রয়েছে প্যারিসের নগর কর্র্র্র্তৃপক্ষের কাছেই। এবার এ স্টেডিয়ামের মালিকানা নিজেদের হাতে নিতে চাইলেই দ্ব›দ্ব সৃষ্টি হয়। নগরকর্তারা সরাসরি পার্ক দে প্রিন্সেস স্টেডিয়াম বিক্রির ব্যাপারে না জানিয়ে দিয়েছে। প্যারিসের মেয়র জানিয়ে দিয়েছেন ৪৭ হাজার আসনের এ স্টেডিয়াম বিক্রির জন্য নয়।
ৎ২০১১ সালে ক্লাবটির দায়িত্বে আসেন নাসের আল খেলাইফি। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে এই মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করেছে ক্লাবটি। এই মুহূর্তে মাঠটি ছাড়তে হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুুুখীন হবে পিএসজি। তাই মাঠটিকে তারা যে কোনো মূল্যে ধরে রাখতে চায়। এই স্টেডিয়াম সংস্কার করতে ৫০ কোটি ইউরো খরচ হবে পিএসজির। স্টেডিয়ামটি কিনে নেয়ার অনুমতি পেলে এই কাজে অর্থায়ন করতে চায় পিএসজি কর্তৃপক্ষ। তবে সে প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিয়েছেন মেয়র। তিনি স্টেডিয়াম বেচাকেনার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্যারিসের মেয়র হিডালগো বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রির জন্য নয় এবং এটা কখনো বিক্রি করা হবে না। এটাই চূড়ান্ত অবস্থান। এটা প্যারিসবাসীর অনন্যসাধারণ এক ঐতিহ্য।’
মেয়রের এমন অনড় অবস্থান দেখে পিএসজির মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্যারিসের মেয়র যে অবস্থান গ্রহণ করেছেন, সেটা বিস্ময়কর এবং হতাশার। পিএসজি এবং পার্ক দে প্রিন্সেস প্যারিসের গর্বিত ঐতিহ্যের অংশ। পিএসজি এর মধ্যে স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণে ৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ব্যয় করেছে। সমর্থকদের জন্য অতিরিক্ত ৫০ কোটি ইউরো খরচ করতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা পিএসজিকে সমৃদ্ধ করতে এবং ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে। আর অবশ্যই এই বিনিয়োগ তখন করা হবে, যখন পিএসজি আক্ষরিক অর্থে এই পার্ক দে প্রিন্সেসের মালিকানা পাবে।’
পার্ক দে প্রিন্সেস তাদের হাতছাড়া হতে পারে এমনটা আগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন পিএসজির সভাপতি নাসের আল খেলাইফি। গত নভেম্বরে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন পার্ক দে প্রিন্সেসে পিএসজি আর সমর্থকদের স্বাগত জানাবে না। সে সম্ভাবনা থেকে তারা এ স্টেডিয়ামের বিকল্পও খুঁজতে শুরু করেছিলেন তখন। সে বিকল্প স্টেডিয়ামই হতে পারে ফরাসি ক্লাবটির পরবর্তী গন্তব্য। তবে যদি প্যারিসের মেয়রের সঙ্গে সমঝোতায় আসা যায় তাহলে পার্ক দে প্রিন্সেসই থাকবে পিএসজির হোম গ্রাউন্ড।
১৮৯৭ সালের ১৮ জুলাই একটি সাইকেল রেসকোর্স হিসেবে এই মাঠ প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। ১৯০৩ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মাঝে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। তার ২ বছর পর ফ্রান্স জাতীয় ফুটবল দল এই মাঠে সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম ঘরের মাঠের ম্যাচ খেলে। ১৯২৪ সাল থেকে ধীরে ধীরে এই মাঠ তার জৌলুস হারাতে থাকে। ১৯৩২ সালে সংস্কার করা হয় এ মাঠটি। এই সময় স্টেডিয়ামটিতে ধারণক্ষমতা ৪০,০০০ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ২০২৪ গ্রীষ্ম অলিম্পিক গেমসের জন্য স্টেডিয়ামটিতে অতিরিক্ত ১০,০০০ আসন যোগ করে ধারণক্ষমতা ৬০,০০০ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়