পদ্মা সেতু : মোটরসাইকেল চলাচল চেয়ে হাইকোর্টে রিট

আগের সংবাদ

আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য টাইগ্রেসরা

পরের সংবাদ

টিম্বার কোম্পানির নামে কনটেইনার ডিপো : ২ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : কাঠের ব্যবসার লাইসেন্স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কনটেইনার ডিপো চালাচ্ছিল হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানি লিমিটেড। এছাড়া খোলা ড্রামে ডিজেল, ফায়ার সেফটি প্ল্যান না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
রবিবার নগরের কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে গিয়ে ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের নামের সঙ্গে ব্যবসার ধরনের কোনো মিল পায়নি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এছাড়া গত ১৪ বছর ধরে ডিপো পরিচালনা করলেও তাদের ছিল না কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান। অবৈধভাবে মজুত রাখা হয়েছে প্রায় ২শ ড্রাম ডিজেল, সব ড্রামেরই মুখ খোলা ছিল। যার আশপাশে পড়ে ছিল সিগারেটের ছাই। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো কারণে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে গত বছরের ৭ জুন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। সেইসঙ্গে প্রাণ দিতে হতো ওই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের। এসব অনিয়মের কারণে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
অনিয়মের কথা তুলে ধরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের নামের সঙ্গে ব্যবসার ধরনের কোনো মিল নেই। প্রতিষ্ঠানটি লাইসেন্স নিয়েছিল টিম্বার কোম্পানি (কাঠের ব্যবসা) হিসেবে। অথচ সরজমিন দেখা মেলে সেটি একটি কনটেইনার ডিপো। এছাড়া ২০২১ সালের ২১ জুন ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর অগ্নিদুর্ঘটনার আগে কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। এই প্রতিষ্ঠানটির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর পর অর্থাৎ গত বছরের ৭ জুন একসঙ্গে দুই বছরের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে কর্তৃপক্ষ। তবে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এবং সেফটি প্ল্যান না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সের নবায়ন স্থগিত রাখে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ১৪ বছর ধরে ডিপো পরিচালনা করলেও ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদনের জন্য তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে একটি খালি কনটেইনারে অবৈধভাবে প্রায় ২শ ড্রাম ডিজেল মজুত করে রাখে। ড্রামগুলোর বেশ কয়েকটির মুখ খোলা এবং তার পাশেই পড়েছিল প্রচুর সিগারেটের ছাই ও অবশিষ্টাংশ। এছাড়া ডিপোতে ছিল না পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে প্রায় ১৫০০ কন্টেইনার থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৩৫টি। যার বেশির ভাগই ছিল অকেজো। ডিপোতে থাকা কর্মচারীদের ফায়ার প্রশিক্ষণ ছিল না জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ডিপোতে একশজন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও ফায়ারের প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র ৪ জনের। এছাড়া তাদের কেউই জানেন না ফায়ার এক্সটিংগুইসারের ব্যবহার। তাই ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ওই ডিপোর এজিএম মো. এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া আগামী এক মাসের মধ্যে যাবতীয় ত্রæটি-বিচ্যুতি সংশোধনেরও আদেশ দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়