মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

শেষ হলো পৌষ মেলা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : পৌষালী রোদের গায়ে শীতল বাতাস ছড়িয়ে গতকাল শনিবার শেষ হলো পৌষ মেলা। বুড়িগঙ্গার তীরে ওয়াইজঘাটের বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) প্রাঙ্গণে পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে এর সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুর। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্, বাফা সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। সভাপতিত্ব করেন পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লেখক-গবেষক গোলাম কুদ্দুছ।
শিশুদের পদচারণ, বাংলা লোকগান, বাউলগান, লালনগীতি আর নানা ঢংয়ের সাংস্কৃতিক আয়োজনে মুখরিত মেলা প্রাঙ্গণ। রয়েছে নানা স্বাদের বাঙালি ঐতিহ্যের পিঠার আয়োজন। এ মেলায় পৃষ্ঠপোষকতা করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশ ও বাফা।
পৌষ মেলা উদযাপন পরিষদ ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ২২ বছর ধরে আমরা এ মেলার আয়োজন করে আসছি। করোনার কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ ছিল। আগামীতে আমরা মেলার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করব। কারণ শহরের শিশুদের অনেকেই কখনো গ্রাম দেখেই না। তাদের গ্রামীণ ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া, শহরের মানুষকে কিছু সময়ের জন্য গ্রামীণ স্মৃতিতে নিয়ে যাওয়া এ মেলার উদ্দেশ্য। কারণ মেলা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য, শিকড় আর মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মেলা প্রাঙ্গণের চারপাশে নানারকম ঐতিহ্যবাহী পিঠার পসরা নিয়ে বসেছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দোকানিরা। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পিঠা মাঠেই তৈরি করে বিক্রি করছেন তারা। অন্যদিকে ছিল বাউলগান, লোকসংগীত, সুফি গান, বাংলার ঐতিহ্যবাহী নাচের আয়োজন। এ ছাড়া সুরতাল, ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, মহিরুহসহ বিভিন্ন সংগীত সংগঠন, আবৃত্তি, নৃত্য, যাত্রাপালা, সংযাত্রা ও বাউল গানসহ পিঠা-পুলির নানা আয়োজন। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার পৌষ মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়