প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
ঢাবি প্রতিনিধি : এ বছর নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে সরবরাহ করা বইগুলো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। বইগুলোতে ভুল থাকতে পারে। বইয়ের বিষয়বস্তুর সঙ্গে কারো দ্বিমত, অস্বস্তি কিংবা আপত্তি থাকলে জানাতে হবে, আগামীতে সেগুলোর সংস্করণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং একুশ শতকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রসমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম। আরো বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত।
এ সময় উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজ ও নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। আরো অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য দুদিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসব উপকরণ পৌঁছে দেয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তার বক্তব্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভবাকদের থেকে ফিডব্যাক নিয়ে নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলোর পরিমার্জন করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, মাধ্যমিকের ৩৩ হাজার প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষামূলক সংস্করণ বইগুলো দেয়া হয়েছে। এবার ৬ষ্ঠ, সপ্তম ও প্রথম শ্রেণিতে যে বইগুলো শিক্ষার্থীদের হাতে উঠেছে সেগুলোতে ভুল থাকতে পারে। বিষয়বস্তুর সঙ্গে কারো দ্বিমত, অস্বস্তি কিংবা আপত্তি থাকতে পারে, সেগুলো যেন আমাদের জানানো হয়। প্রতিনিয়ত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ফিডব্যাক নিয়ে সেই অনুযায়ী বছরব্যাপী এগুলোকে পরিমার্জন-পরিশীলন করা হবে। তিনি বলেন, আমরা একটা সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি। কারণ এখন আমাদের সামনে ২০৩০ সালের যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, সেখানে ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৪ নম্বর হলো শিক্ষা। আর এটি হচ্ছে সবকিছুর কেন্দ্রে। সেই শিক্ষার যদি আমরা মান অর্জন করতে পারি তাহলে বাকি যে ১৬টি লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কারিগরি শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষায় যাওয়ার পথে যে বাধা আমরা তা নিরসনে কাজ করছি। আমরা মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় বিষয়গুলো যেমন ভালোভাবে শিখবে তেমনি নতুন প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আধুনিক শিক্ষাও নেবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাদ্দাম হোসেন বলেন, বিএনপি-জামায়াতের যে মোট বাজেট ছিল তার চেয়ে এই সরকারের শিক্ষা বাজেট বেশি রয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় আগের সরকারের সময় মাত্র ১ শতাংশ ছিল আর এখন ২০ শতাংশের কাছাকাছি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ৪০ শতাংশ কারিগরি শিক্ষার কাছাকাছি আসা।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।