মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল : নেতাকর্মীদের গুম-হত্যা করেও আন্দোলনে দমাতে পারেনি সরকার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদন : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট সরকার’ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। ৬শ নেতাকর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এখনো কয়েক হাজার নেতাকর্মী ও শীর্ষ নেতারা জেলে আছেন। কিন্তু কারো মধ্যে হতাশা দেখিনি, সবাই উজ্জীবিত। গুম-হত্যা করেও সরকার আন্দোলনে দমাতে পারেনি। যত অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন আসুক আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে হটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করব।
গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চলমান আন্দোলনে নিহত তিন নেতার পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতার জন্য এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। এ সময় নিহত তিন নেতার পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু প্রমুখ।
গত ৭ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত পল্লবী থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেক দলের যুগ্ম সম্পাদক মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তার বর্ষা তার মেয়ে মিথিলা আক্তার মারিয়াকে নিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। গত ২৪ ডিসেম্বর গণমিছিলকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সংঘর্ষে নিহত হন বোদা উপজেলা ময়দানদীঘি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ আরেফিন। তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ছেলে মোহাম্মদ আব্দুল আল মাহিকে দেখিয়ে বলেন, এতটুকু ছেলেকে যারা এতিম করেছে তাদের বিচার চাই।
এ সময় বিএনপি মহাসচিবসহ উপস্থিত নেতাদেরও কাঁদতে দেখা যায়। ফখরুল বলেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন তারা একটি আদর্শ ও লক্ষ্যের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। নিজের দেশকে মুক্ত ও একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য তারা প্রাণ দিয়েছেন। গত ২২ আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে যখন ‘গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের’ আন্দোলন শুরু করি, তখন থেকে আমাদের ১৫ জন ভাই প্রাণ হারান। এজন্য তিনি পুলিশের গুলি ও আওয়ামী লীগ ‘সন্ত্রাসীদের’ হামলাকে দায়ী করেন। তারা দেশের জন্য যে আত্মত্যাগ করে গেছেন তা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীরা আরো ত্যাগ স্বীকারের শপথ নিয়েছেন। এ সময় গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার প্রতিটি নেতার পরিবারের পাশে বিএনপি সব সময় থাকবে বলে প্রতিশ্রæতি দেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়