মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের আয়োজন : কুড়ানো পাতা দিলেই পিঠা-শীতবস্ত্র

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি স্কুল মাঠে হতদরিদ্র শিশু ও মানুষের জন্য ব্যতিক্রমী এক পিঠা ও শীত উৎসবের আয়োজন করে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। শুধু কুড়িয়ে পাওয়া পাতা দিলেই এসব গরিব শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যকে দেয়া হয় শীতবস্ত্র ও পিঠা। শুধু কি তাই! সেইসঙ্গে ছিল নৌকার নাগরদোলা। এক অনাবিল উৎসবে মেতেছিল প্রায় হাজারখানেক শিশু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। ব্যতিক্রমী এই শীত উৎসবের মধ্য দিয়ে শিশুদের জন্য আনন্দময় শৈশবের কিছুটা ফিরিয়ে এনেছিল বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। সঙ্গে ছিল চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
গতকাল শনিবার নগরীর খুলশী থানার পলিটেকনিকে শহীদ ডা. মকবুল আহমেদ প্রাথমিক সরকারি বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ‘সবার জন্য শীত উৎসবে’ শামিল হন এক হাজার নি¤œ আয়ের হতদরিদ্র মানুষ, যাদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। সকালে উৎসবের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এরপর সিএমপি কমিশনার প্রতিটি স্টল ঘুরে দেখেন। পিঠাপুলি ও শীতের কাপড় তুলে দেন শিশুদের হাতে। এ সময় সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন সুখে-দুঃখে, পূজাপার্বণে, ঈদে সব সময় মানুষের পাশে আছে। শুধু শীতবস্ত্র বিতরণ নয়, বিদ্যানন্দ এই মানবিক উদ্যোগের মধ্য দিয়ে একে একটি উৎসবে পরিণত করেছে। গরিব-অসহায় মানুষ এসে শীতবস্ত্র পাচ্ছে, পিঠা উৎসবে নানা ধরনের খাবার পাচ্ছে। মানুষের জন্য কিছু করার মধ্যে যে আনন্দ, সেটা দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছি।’
স্কুলের মাঠে সামিয়ানা টানিয়ে প্রায় ১৫টি স্টলে ছিল নারী, পুরুষ ও শিশুদের জন্য কম্বল, চাদর, সোয়েটার, জ্যাকেট। পিঠার স্টলে ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, ফুচকাসহ আরো কিছু খাবার। দিনব্যাপী এই উৎসবে দুপুরে খাবারের আয়োজনও ছিল। শিশুদের খেলাধুলার জন্য নৌকার নাগরদোলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জামও রাখা হয়েছিল। শিশুরা সেসব খেলনায় চড়ে আনন্দে মেতে ওঠেন। শীত উৎসব তাদের কাছে ধরা দিয়েছিল ইচ্ছেপূরণের উৎসব আর খুশির উৎসবে।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এক সময় গ্রামে শীতের মধ্যে পাতা কুড়ানোর উৎসব হতো। আমরা সেই উৎসবের যে আনন্দ, সেই শৈশবকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। এখানে চারটি পাতা দিলে চারটি টোকেন দেয়া হচ্ছে। টোকেনগুলো দেখিয়ে শীতবস্ত্র, পিঠাপুলি, দুপুরের খাবার এবং খেলাধুলায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।’ এলাকার গরিব মানুষ রোজী তার নিজের জন্য একটি সোয়েটার ও তার ছেলে মানিক নিয়েছে একটি জ্যাকেট। পাতার বিনিময়ে এত দামি পোশাক, বিস্মিত মা-ছেলের মুখ দিয়ে যেন কথাই বের হচ্ছিল না ! রোজী বেগম সারা বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের খুব ভালো লাগছে, সবাইকে ধন্যবাদ।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়