প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় জমি জটিলতায় বেতাগী সানকিপুর ও বহরমপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের আদপুরা খালের উপর ৩ কোটি ৮২ লাখ ৬২ হাজার টাকায় নির্মিত ৩৭ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুটির অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে দীর্ঘ এক বছর। অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ বন্ধ থাকায় দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর আদমপুরা খালের উপর নির্মিত সেতুটির নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এসএম শাহজাদা। ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের পর দ্রুত জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। এরপর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের সময় সেতুর উত্তর পাশের জমির মালিকরা বাধা দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন। এছাড়াও তারা আয়রন সেতু পরিবর্তন করে গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প পরিচালকসহ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
জমির মালিকানা দাবিকারীদের পক্ষে লিখিত অভিযোগকারী মো. বাবুল ফরাজী বলেন, সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রায় ১৫ শতাংশ জমির কোনো মূল্য তাদের দেয়া হয়নি। কোনো মূল্য দেয়া হবে কিনা সেটাও নির্দিষ্ট করে কেউ বলছেন না। তাই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ কাজে বাধা দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোরজবরদস্তি করে আমাদের জমির ওপর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের চেষ্টা করলে আদালতে মামলা করা হবে।’
এলজিইডির দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন বলেন, ওই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সুযোগ নেই। তবুও জমির মালিকদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা বলেন, ‘দশমিনা উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি আমাকে আবহিত করেননি। তবুও জনস্বার্থে সেতুটি গুরুত্বপূর্র্ণ। তাই জমির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জটিলতা নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।