মির্জা ফখরুল : বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গণবিরোধী

আগের সংবাদ

সতর্ক-সংকুলানমুখী মুদ্রানীতি : আমানত সুদের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার > নীতি সুদহার বাড়ল > রেপো সুদহার বেড়েছে ২৫ বেসিস পয়েন্ট

পরের সংবাদ

চক্রের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার : চালকের গলাকাটাই ছিল ছিনতাইয়ের কৌশল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের কোনো একটি গন্তব্যের কথা বলে বাহনটি ভাড়া করে নিয়ে যেত নিজেদের পূর্বপরিকল্পিত নির্জন স্থানে। যেখানে চালকের গলা কেটে হত্যা করে লাশ লুকিয়ে রেখে অটোরিকশাটি নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যেত। এভাবে হত্যাকাণ্ডের পর লাশটি উদ্ধার হলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্লুলেস খুন হিসেবেই থেকে যেত। অনেক সময় কোন জায়গা থেকে তদন্ত শুরু করা হবে, তা নিয়েও সংশয় দেখা দিত তদন্ত সংশ্লিষ্টদের মনে। রাজধানীর দক্ষিণখানে এমনই এক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে ছিনতাইকারী ‘গলাকাটা পার্টির’ ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলো- খালেদ খান শুভ, টিপু, হাসানুল ইসলাম ওরফে সান, জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মজিদ ও সুমন। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ও মৌলভীবাজারের রাজনগর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহার করা চাকু ও পাথর উদ্ধার করা হয়। মোস্তফা (৩৫) নামে নিহত এক ব্যক্তির ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন ও অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়েছে। ডিবি বলছে, চক্রে ছয়জন সদস্যের মধ্যে তিন চালককে হত্যা করে অটোরিকশা এনে দিত। অপর সদস্যরা অটোরিকশা বিক্রি করত।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ৮ ও ২৫ ডিসেম্বর একই কায়দায় মো. মোস্তফা ও জিহাদ নামে দুই অটোরিকশা চালকের রিকশা ভাড়া করে মো. টিপু, হাসান ও শুভ। পরে মোস্তফাকে আশিয়ান সিটি ও জিহাদকে পূর্বাচল এলাকায় নিয়ে হত্যা করে তারা। হত্যা শেষে একইভাবে দুজনের মরদেহ নির্জন এলাকায় ফেলে দেয়া হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের দায়ের করা মামলার ছায়া তদন্তে নেমে এ চক্রের সন্ধান পায় ডিবি উত্তরা বিভাগ। পরে পৃথক অভিযানে চক্রের ৬ সদস্যকেই গ্রেপ্তার করা হয়।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ আরো বলেন, গলাকাটা ছিনতাইকারী চক্রটির সদস্যরা এ ধরনের আরো কোনো ঘটনায় জড়িত কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত অটোরিকশাচালক দক্ষিণখানের বাসিন্দা মোস্তফার সত্তরোর্ধ্ব মা সামছুন্নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, ৭ ডিসেম্বর রাতে মোস্তফা নিখোঁজের ১১ দিন পর আমার মেয়ের জামাইয়ের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়েছিল, আশিয়ান সিটি নামে একটি জায়গায় আমার ছেলের মরদেহ পড়ে আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ পড়ে আছে। গ্রেপ্তারকৃতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন সামছুন্নাহার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়