রাষ্ট্রপতির ভাষণের আলোচনায় এমপিরা : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ফের ক্ষমতায় আসার প্রত্যয়

আগের সংবাদ

বরিশালে ড্রেজিং করা বালু ফের নদীতে, খোয়া যাচ্ছে টাকা!

পরের সংবাদ

ফসলি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা : শেরপুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

খোরশেদ আলম, শেরপুর থেকে : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার অর্ধশত কৃষকের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ফসলি জমি থেকে ৩-৫ ফুট গর্ত করে অবাধে মাটি কেটে নেয়ায় চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়েছে জমিগুলো।
জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পূর্বে দীঘিরপাড় এলাকায় মহারশি নদী ভাঙনের কবলে পড়ে অর্ধশত কৃষক। ভাঙন কবলিত এলাকার জমি কৃষকদের নামে হলেও নদী ভাঙনের ফলে বিআরএস রেকর্ড হয় সরকারের নামে।
পরবর্তীতে আবারো জমিগুলো জেগে উঠে। নদীভরাট হয়ে গেলে, ওই জমির মালিকরা জমিগুলো চাষাবাদ শুরু করেন। উক্ত জমি চাষাবাদ করে পরিবারের সদস্যদের জীবনজীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কতিপয় প্রভাশালী মহারশি নদীর বালু মহলের ইজারাদার ও প্রশাসনের যোগসাজশে ওই সব ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
ভেকু দিয়ে অবাধে কেটে নেয়া হচ্ছে মাটি। কোনো বাধা নিষেধও মানছেন না তারা। ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কেটে নেয়ায় জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষকরা। শুধু তাই নয় মাহিন্দ্র যোগে এসব মাটি পরিবহনের ফলে দীঘিরপাড় থেকে ঝিনাইগাতী সদর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীঘিরপাড় গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম, নাজিমুল, আইজ উদ্দিন, আসাদুল,আক্রাম হোসেন, দুলাল মিয়া, রহুল আমিন, মজিবর রহমান ও আশরাফ আলী জানান, তাদের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে বালু খেকোরা। তারা বাধানিষেধ কিছুই মানছেন না।
স্থানীয় প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই ভেকু দিয়ে অবাধে এসব মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকের। বালু মহালের ইজারাদার নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলন করার কথা নদী থেকে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন নিয়মনীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে সমতল ভূমি কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা তাদের জমির ওপর থেকে মাটি কাটা বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানান কৃষকরা। কিন্তু এরপরেও তাদের জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ হয়নি। কৃষকরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের সঙ্গে কথা হলে তিনি ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
কিন্তু গত ২ দিনেও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়