আ.লীগ নেতা টিপু হত্যার প্রতিবেদন পেছাল

আগের সংবাদ

মাদকের বিরুদ্ধে ‘নতুন যুদ্ধ’ : তালিকায় ৯৩ শীর্ষ মাদক কারবারি, এক লাখ মাদকাসক্ত, জনসচেতনতা বাড়াতে প্রস্তুত অ্যাপ

পরের সংবাদ

এলাকাবাসীর বাধায় কাজ বন্ধ : তিস্তা তীর রক্ষা ব্লক তৈরিতে অনিয়ম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাটগ্রাম (প্রতিনিধি) লালমনিরহাট : লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদীতে ‘সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে’ ব্লক তৈরির কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। গত বুধবার বেলা ১০টা থেকে এলাকাবাসীর বাধায় ব্লক তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে দহগ্রাম থানা প্রশাসন এসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করেন এবং তাদের অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। 
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাশের তিস্তা নদী থেকেই বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। যেখানে মাটি মিশ্রিত বালু রয়েছে। নদী থেকে ভেকু দিয়ে তুলে রাখা বালু দিয়েই চলছিল ব্লক তৈরি। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ওই নদীর তীর রক্ষায় ব্লক তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু ব্লক নির্মাণে নদীর মাটি মিশ্রিত বালু, নি¤œমানের পাথর ও কম পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব ব্লক নদীর তীরে ব্যবহার করামাত্রই নষ্ট হয়ে যাবে। রুহুল আমিন নামে একজন বলেন, ‘ব্লকগুলো তৈরিতে সাত ভাগ বালু, এক ভাগ পাথর ও সামান্য পরিমাণে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি সারাদেশে অনেক ঠিকাদারের অধীনে কাজ দেখেছি। কিন্তু এত নি¤œমানের কাজ কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারের ব্যবস্থাপক সোহেল হোসেন বলেন, আমরা ইস্টিমেট অনুযায়ী সঠিকভাবেই ব্লক তৈরি করছি। এ সময় ইস্টিমেট দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। কত টাকার কাজ হচ্ছে জানতে চাইলেও তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি। এ সময় এলাকাবাসীর বাধায় দীর্ঘক্ষণ ধরে কাজ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট পাউবোর কার্যসহকারী রমজান আলী বলেন, বুয়েটে এসব ব্লক পরীক্ষা করার পর কাজের বিল ছাড় দেয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষা করে নদীর বালু দিয়ে কাজ করা হচ্ছে দাবি করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে বলেন।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে পাউবোর অধীনে কাজ পেয়েছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেভি সেহা-ইউবি। ওই এলাকার আদর্শপাড়া থেকে নদীর ৮২৫ মিটার পর্যন্ত (প্রায় এক কিলোমিটার) ওই ব্লক ফেলা হবে। কাজের প্রাক্কলিত মূল্য তেরো কোটি পঁচিশ লাখ চল্লিশ হাজার দুইশ ছয় টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়