প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

১৫০০ কোটি টাকা পাচার : এফএমসি ডকইয়ার্ড এমডির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ইয়াসিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ৯ মার্চের মধ্যে বিএফআইইউ, সিআইডি, দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এছাড়া জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। বিএফআইইউ, সিআইডি, দুদককে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে ইয়াসিন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন গতকাল হাইকোর্টের নজরে আনেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তখন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিতভাবে এসব আদেশ দেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
জানা গেছে, জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করে বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছেন ইয়াসিন চৌধুরী। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকেও ঋণ নিয়েছেন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের এই উদ্যোক্তা। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী জাহাজ নির্মাণ ও হস্তান্তর করেনি তার প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড।
গ্রাহক ও ব্যাংকের কাছ থেকে নেয়া পুরো টাকা বিদেশে পাচার করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে গত ৪ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াসিন চৌধুরী।
গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ফেরত না দেয়ার অভিযোগে চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও তিনি দুবাইয়ে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন।
ইয়াসিন চৌধুরী বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করা হয়, বিদেশে গিয়ে সরকারবিরোধী নানা তৎপরতাও শুরু করেছেন তিনি। সরকারবিরোধীদের আন্দোলনে মদত ও অর্থের জোগান দিচ্ছেন।
সা¤প্রতিক সময়ে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গেও তার যোগাযোগ হয়েছে। নুরের দল পরিচালনা ও বিভিন্ন আন্দোলনে অর্থের জোগান দিচ্ছেন ইয়াসিন চৌধুরী।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়