প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

রৌমারীতে সোলার কোম্পানির কিস্তি আদায়ের নামে হয়রানি : ভুক্তভোগীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রৌমারীতে প্যাসিফিক সোলার এন্ড রিনিউএবল এনার্জি লি. কোম্পানির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল রবিবার সকালে বকবান্ধা হাইস্কুল এন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই এলাকার হতদরিদ্র ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা উল্লেখ করেন, গত ২০১৫ সালে প্যাসিফিক কোম্পানি সোলার প্যানেলের মাধ্যমে গ্রামীণ হতদরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে কিস্তিতে ব্যাটারিসহ সোলার প্যানেল বরাদ্দের জন্য উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের বকবান্ধা গ্রামে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল গঠন করে।
দল গঠনের পর প্রত্যেকের কাছে থেকে জামানত হিসেবে ৫ হাজার টাকা জমা নেয়। ১৫০ ওয়াট, ৮০ ওয়াট, ৬৫ ওয়াট ও ১০০ ওয়াটের বিভিন্ন দামের সোলার ১ হাজার ২০০ টাকা কিস্তি হিসাবে ৩৬ মাসে পরিশোধ করার শর্তে চুক্তি করে কোম্পানি। উভয় পক্ষ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে।
বকবান্ধা গ্রুপে প্যাসিফিক সোলার কোম্পানির কর্মী নজরুল ইসলাম, মো. শাহানুর, মো. বাবু মিয়া, মো. শাহাজাহান সদস্যদের কাছ থেকে ৮ কিস্তি, কারো কাছ থেকে ১৬ কিস্তির প্রায় ৬ লাখ টাকা আদায় করেন। কিস্তি আদায়ের এক পর্যায়ে সোলার কোম্পানি লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে কোনো কর্মী কিস্তি আদায় করতে না আসায় তারা কিস্তি দেননি বলে জানান।
এদিকে গত ১৪ নভেম্বর রৌমারী সোনালী ব্যাংক সোলার গ্রহীতা সদস্যদেরকে সোলারের সমুদয় টাকা ১০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করার নোটিস দেয়। পরিশোধে ব্যার্থ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয় নোটিসে। সোনালী ব্যাংকের এমন চিঠিতে ভুক্তভোগীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী কবিতা খাতুন, দুলাল মিয়া, নুরেজা বেগম বলেন, আমরা গ্রামের অসহায় দরিদ্র মানুষ। ২০১৫ সালে প্যাসিফিক কোম্পানি কিস্তিতে সোলার দেয়ার জন্য গ্রামে আসে এবং আমাদের সঙ্গে মিটিং করে। পরে ১২০০ টাকার মাসিক কিস্তি হিসাবে ৩৬ কিস্তিতে টাকা পরিশোধ করার লক্ষ্যে ৩০ জনের মধ্যে সোলার প্যানেল বিতরণ করে।
এদিকে প্রায় ১ বছরব্যাপি কিস্তি তোলার পর প্রায় ৭ বছর কিস্তি তোলা বন্ধ থাকে।
এ ব্যাপারে রৌমারী সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. কামরুল হাসান মিঠু বলেন, প্যাসিফিক এনজিও সোনালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে উপকারভোগীদের সোলার কিনে দিয়েছে। কিস্তি পরিশোধের নিয়ম সোনালী ব্যাংকে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়