কাগজ প্রতিবেদক : সরকারিভাবে নির্মিত ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির নিচে সংসদ সদস্যদের ছবি যুক্ত করার ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি দিয়ে ম্যুরাল নির্মাণের জন্য মূল নকশা তৈরি করা হয়। কিন্তু সেই নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত ম্যুরালে সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’-এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে অনুমতি ছাড়াই স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি যুক্ত করা হয়। এর ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যুরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান। এ নিয়ে গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর ধর্মপাশার মধ্যনগরের আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন।