কাগজ প্রতিবেদক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, পুলিশের সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটা দেশে স্বাধীনভাবে চলার জন্য, সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশের ভূমিকা অপরিহার্য। পুলিশ নিষ্ঠার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। ফলে পুলিশের যৌক্তিক সমস্যা সমাধানে আইন মন্ত্রণালয়ের দরজা সবসময় খোলা রয়েছে। পুলিশ সপ্তাহের শেষ দিনে গতকাল রবিবার দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের পুলিশ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের সভাপতিত্বে ওই মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসনবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের সচিবরা। এ সময় পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা তাদের সুনির্দিষ্ট কিছু সমস্যা ও চাহিদার কথা অতিথিদের কাছে পেশ করেন। অতিথিরাও প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হেসেন বলেন, একটি দেশের এগিয়ে যাওয়ার পূর্বশর্ত হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখে জনগণকে শান্তিতে রাখা। পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করেছে এবং নিজেকে প্রমাণ করেছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করেছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জন করেছে। হলি আর্টিজান অভিযানে পুলিশ রক্তের বিনিময়ে প্রমাণ করেছে তারা দেশের জন্য অকুতোভয় সৈনিক। অনলাইন প্লাটফর্মে দেশ ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারী সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।
সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, আমরা জনগণের পুলিশ হিসেবে দেশের জন্য কাজ করতে চাই, সেবা করতে চাই। যাতে দ্রুততম সময়ে মানুষের কাছাকাছি যাওয়া যায়। তাই সরকারের কাছে উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে পুলিশ আছে জনতার পাশে’ এই প্রতিপাদ্যে গত ৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল এবারের পুলিশ সপ্তাহ।