প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন : আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : পাঁচবিবিতে আলুর ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে অতিরিক্ত অর্থ আয় করছেন তারা। এতে চাষের খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা।
কৃষি অধিদপ্তরের মতে, এ বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরী ফসল ধান। পাশাপাশি সবজির আবাদও হয়। গত ইরি-বোরো এবং চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পেয়েছেন। এর পর কৃষি অধিদপ্তরের অনুপ্রেরণায় অনেক কৃষক ধানের জমিতে এবার আলু চাষ করেন। বর্তমানে ক্ষেত থেকে উঠতে শুরু করছে আলু। বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা ক্ষেত থেকে আলু কিনে শ্রমিক দিয়ে উত্তোলন করছেন। তবে এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। বৃষ্টি হওয়ায় সুবিধা হয়েছে আলুর জন্য। এতে কৃষকদের বাড়তি সেচের প্রয়োজন হয়নি। পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন জাতের আলুর চাষ হয়েছে। পরিপক্ব হওয়ায় মাঠ থেকে আলু ওঠাতে শুরু করেছেন কৃষকরা।
পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের খোর্দ্দা গ্রামের কৃষক হাজেরা বিবি ও প্রদীপ চন্দ্র বলেন, ইরি-বোরো ধান কাটার পর এক একর জমিতে আলু চাষ করেছি। ৬৫ দিনের মধ্যে আলু পরিপক্ব হয়েছে। পাইকাররা আমার এক একর জমির আলুক্ষেত ৭৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছি। বর্তমানে ওই জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমি।
গ্রামের দেলোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রথমদিকে যে আবহাওয়া ছিল তাতে আমরা ভয় পেয়েছিলাম। কারণ জমিতে বেশি সময় পানি জমে থাকলে আলু পচে যায়। পরে আবহাওয়া ভালো হয়েছে। আলুরও ফলন ভালো হয়েছে।
একই এলাকার হবিবর বলেন, এ বছর ১৫ কাঠা জমিতে দেশি আলু চাষ করেছি। এ জাতের আলু বিঘাপ্রতি ভালো হলে ৪৫-৫০ মণ হয়। সার, ওষুধ, জমি চাষ ও শ্রমিকসহ খরচ হয় বিঘাপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা। বাজারে আলুর দাম ভালো আছে। দেশি আলু কম পরিমাণ উঠছে। তবে ভুটান ও পাপড়ি জাতের আলু প্রতি মণ ৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।
এছাড়া অন্যান্য পাইকারি আলুর মণ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হয়। সে হিসাবে খুচরা আলুর ২০ টাকা কেজি বিক্রি করছি আমরা।
পাঁচবিবি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলায় এবার ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। অধিক দামের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই আলু বাজারে পুরোদমে পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়