প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য চাকরি মেলা

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়নি : অনিশ্চয়তায় ২১ হাজার শিক্ষার্থী

পরের সংবাদ

তুচ্ছ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলায় জনশূন্য গ্রাম

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ৯, ২০২৩ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : রাজারহাটে ছাগল আলুক্ষেত নষ্ট করাকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৮ জন আহত। পৃথক দুটি মামলায় ২ ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে জনশূন্য গ্রাম।
মামলার বিবরণ ও সরজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলাধীন নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ণ গ্রামের কমর উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুল হাই তার বাড়ির সামনে পার্শ্ববর্তী হারুন অর রশিদ চৌধুরীর জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ওই জমিতে পার্শ্ববর্তী জয়নাল আবেদীনের ছেলে আনারুল ইসলাম রানা গংয়ের ছাগল এসে আলুক্ষেত ক্ষতি করে। হাইয়ের মেয়ে আখিমনি ছাগল ধরে বাড়িতে নেয়। এ কারণে রানা গংয়ের নির্দেশে ওসমান আলীর ছেলে মজিদুল ইসলামসহ ৮-১০ লাঠিসোটা, কোদাল নিয়ে বাদী গংয়ের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আবুল কাশেমের কোদালের আঘাতে আবুল হোসেনের স্ত্রী রনজিনা বেগমের (৪৫) মাথা ফেটে যায়। আহত হন আবুল হোসেন, মারুফা খাতুন ও লাভলী বেগম। এদের স্থানীয়রা রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার মুমূর্ষু অবস্থায় রনজিনাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে পাঠান।
এ ব্যাপারে আব্দুল হাই বাদী হয়ে নামীয় ৮ ও অজ্ঞাত ৪ জনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুর রশিদ (৪০) ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নামীয় ১১, অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জনকে আসামি করে ৩ জানুয়ারি রাজারহাট থানায় মামলা করেন।
এজাহারে বলেন, ১ জানুয়ারি সকাল ১০টায় আব্দুর রহিমের ছেলে মতিয়ার রহমান গংয়ের লোকজন তার বাড়িতে এসে বিভিন্ন হামলা চালায়।
এতে জয়নাল আবেদীন (৫০), আবুল কাশেম (৬৫), লাভলী বেগম (৩০), জাহিদ হাসান (১৮) ও হাছনা বানু (৪৫) আহত হন। এদের স্থানীয় লোকজন কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ মামলায় পুলিশ আসামি মতিয়ার রহমান (৫৬) ও শফিককে ৪ জানুয়ারি ভোরে বাড়ি থেকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়।
রাজারহাট থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান বলেন, মানাবাড়িতে আলুক্ষেতে ছাগল আটক ও বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় দুজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এবং মামলার তদন্ত কাজ চলছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি মামলায় অর্ধশত অজ্ঞাত আসামি করায় এলাকা জনশূন্য হলে যে কোনো সময় ওই এলাকায় চুরি-ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হতে পারে বলে মনে করে এলাকার সুধী মহল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়